ব্রাজিলের বিরুদ্ধে মহারণে বিতর্ক ও অবমাননা নিয়ে মাত্র দিনকয়েক আগেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল আর্জেন্তিনা তথা লিওনেল মেসি। তবে ঠিক তার পরের বিশ্বকাপ যোগ্যতাপর্বের ম্যাচেই বলিভিয়ার বিরুদ্ধে সেই শোধ তুলে নিল লা আলবিসেলেস্তে। মেসির অনবদ্য হ্য়াটট্রিকে ৩-০ গোলে ম্যাচ জিতল আর্জেন্তিনা।
বিশ্ব ফুটবলে হয়তই এমন কোন নজির আছে যা মেসি বা রোনাল্ডো গড়েননি। বিগত এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব ফুটবলে নিজেদের শাসন চালিয়েছেন এই দুই মহাতারকা। এই মাসেই ইউরোপিয়ান বিশ্বকাপ যোগ্যতাপর্বের ম্যাচে রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে গোল করে বিশ্ব ফুটবলে সর্বাধিক আন্তর্জাতিক গোলদাতা হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন রোনাল্ডো। পর্তুগিজ মহাতারকা নজির গড়লে মেসিও কি আর চুপ বসে থাকবেন। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এদিন ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করার সঙ্গে সঙ্গে আর্জেন্তাইন মহাতারকা গড়ে ফেললেন দক্ষিণ আমেরিকান হিসাবে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলদাতা হওয়ার নজির। এতদিন কিংবদন্তী পেলেই (৭৭) লাতিন আমেরিকান ফুটবলার হিসাবে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন। তবে তিন গোল করার ফলে মেসির গোলসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৭৯ৃ-এ। বলিভিয়ার বিরুদ্ধে ১৪ মিনিটে দলকে বক্সের বাইরে থেকে মেসিসুলভ ড্রিবল করে মোচড় খাওয়া শটে বল জালে জড়িয়ে দেন মেসি।
লাতুরো মার্টনেজের সঙ্গে সঙ্গে সুন্দর এক দুই খেলে ৬৪ মিনিট ব্যবধান দ্বিগুন করেন এলএম১০। ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট দুয়েক আগেই নিজের হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন ৩৪ বছর বয়সী মহাতারকা। ম্যাচে আর কোন গোল না হওয়ায়, তা আর্জেন্তিনার পক্ষে ৩-০ ব্যবধানেই শেষ হয়। এটি জাতীয় দলের জার্সিতে মেসির সপ্তম হ্যাটট্রিক। এই জয়ের সুবাদে এবারের বিশ্বকাপ যোগ্যতাপর্বে এখনও অপরাজিত রইল আর্জেন্তিনা।
মেসির দল ৮ ম্য়াচ খেলে মোট ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন আমেরিকান দেশগুলির মধ্যে যোগ্যতাপর্বের তালিকায় দ্বিতীয় স্খানে রয়েছে। তাদের মোট জয়ের সংখ্যা পাঁচ। প্রসঙ্গত, কোপা জয়ের পর এদিনই প্রথমবার অফিসিয়ালি নিজেদের সমর্থকদের সঙ্গে খেতাব জয়ের সেলিব্রশনে মাতেন আর্জেন্তাইন তারকারা। দেশের জনগণের সামনে অধিনায়ক মেসি কোপা ট্রফি তুলে ধরে আবেগঘন হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।