আইপিএলে দক্ষিণ ভারতের ডার্বিতে জয় পেল বিরাটের আরসিবি। ধোনির চেন্নাইকে একপেশে লড়াইয়ে ৩৭ রানে হারাল তাঁরা। বিরাটের অপরাজিত ৯০ রান করার দিনে ফের ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিরাট। কিন্তু শুরুতেই দীপক চাহার ফিরিয়ে দেন অ্যারন ফিঞ্চকে (২)। এরপর সেই দেবদূত পাড়িক্কল এবং বিরাট কোহলি জুটি আরসিবির হাল ধরেন। দেবদূত করেন ৩৩ রান। তবে এদিন ব্যর্থ হন এবি ডিভিলিয়ার্স। শূন্য রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। কিন্তু বাকিদের নিয়ে একাই কার্যত রান তুলতে থাকেন বিরাট। শেষপর্যন্ত শতরান না পেলেও ৯০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। খেলেন মাত্র ৫২টি বল। মারেন ৪টি চার এবং ৪টি ছয়। আর তিনটি ছয় মারলেই টুর্নামেন্টে ২০০টি ছয় মারার নজির গড়ে ফেলবেন তিনি। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে আরসিবির রান দাঁড়ায় চার উইকেটে ১৬৯। চেন্নাইয়ের হয়ে শার্দুল ঠাকুর দু’উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য ফের মুখ থুবড়ে পড়ে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং লাইন আপ। টুর্নামেন্টের প্রথম এবং পাঞ্জাব ম্যাচ বাদ দিলে বাকি ম্যাচগুলোতে যেরকম ব্যাটিং ছিল এদিনও সেই খারাপ ব্যাটিংই উপহার দিল চেন্নাই। ওয়াটসন (১৪), ডু’প্লেসি (৮) এমনকী খোদ ধোনিও (১০) ফের ব্যর্থ। এদিন টুর্নামেন্টে ৩০০টি ছয় মারার রেকর্ড গড়লেও ওই একই ওভারে চাহালের শিকার হন ক্যাপ্টেন কুল। আর তিনি ফিরতেই চেন্নাইয়ের সমস্ত আশাও যেন শেষ হয়ে যায়। রায়াডু (৪২) বা কেদার যাদবের জায়গায় সুযোগ পাওয়া জগদেশন (৩৩) চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। ফলে শেষপর্যন্ত ৩৭ রান দূরেই থেমে যায় চেন্নাইয়ের ইনিংস। এই ম্যাচ জিতে একদিকে যেমন শেষ চারের দিকে আরও একধাপ এগোল বিরাটের আরসিবি। অন্যদিকে, আরও কিছুটা চাপে পড়ে গেল ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।