সেঞ্চুরির খোঁজে মাঠে নেমে শূন্য রানের লজ্জাজনক নজির গড়ে বসলেন বিরাট কোহলি

সেঞ্চুরির খোঁজে মাঠে নেমে শূন্য রানের লজ্জাজনক নজির গড়ে বসলেন বিরাট কোহলি। তাও আবার পয়া ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই এমন এক রেকর্ড গড়লেন বিরাট, যা তিনি কোনওদিনই মনে রাখতে চাইবেন না।

আসলে প্রথম ও একমাত্র ভারতীয় ক্যাপ্টেন হিসেবে টেস্টে ১০ বার শূন্য রানে আউট হলেন কোহলি। ভারত অধিনায়কদের মধ্যে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। টেস্টে নেতৃত্ব দিতে নেমে ধোনি মোট ৮ বার খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

উল্লেখ্য, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪ বলে কোনও রান না করেই আজাজ প্যাটেলের বলে এলবিডব্লিউ হন কোহলি।

শুধু তাই নয়, ভারত অধিনায়ক হিসেবে দেশের মাঠে টেস্টে সবথেকে বেশি ৬ বার শূন্য রানে আউট হলেন বিরাট, যাও একটি রেকর্ড। এই নিরিখে তিনি টপকে গেলেন মনসুর আলি খান পতৌদিকে। নবাব পতৌদি নিজের দেশে টেস্ট ক্যাপ্টেন হিসেবে মোট ৫ বার শূন্য রানে আউট হয়েছে। সেদিক থেকে নবাবকে লজ্জার নজির থেকে কোহলি মুক্তি দিলেন বলা যায়।

ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যাপ্টেন হিসেবে মোট ১০ বার শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন বিরাট। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পতৌদি।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২ বছর কোহলির ব্যাটে তিন অঙ্কের রানের দেখা নেই। তিনি শেষবার সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলাপি বলে ডে-নাইট টেস্টে। তার পর থেকে তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে বিরাট মাঠে নামেন ৫৭টি ইনিংসে। অথচ একবারও তিন অঙ্কে পৌঁছতে পারেননি তিনি।

ওয়াংখেড়েতে কোহলির টেস্ট রেকর্ড দারুণ হওয়ায় আশায় বুক বেঁধেছিলেন বিরাট অনুরাগীরা। মুম্বইয়ে এর আগে ৪টি টেস্টের ৬টি ইনিংসে কোহলি ৭২.১৬ গড়ে ৪৩৩ রান সংগ্রহ করেছেন। ওয়াংখেড়েতে ১টি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই মাঠের শেষ টেস্টে কোহলি সংগ্রহ করেছিলেন ২৩৫ রান। যদিও প্রথম ইনিংসে সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হন বিরাট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.