সেঞ্চুরি চাই…সেঞ্চুরি চাই…! ৩৫ তম জন্মদিনে (Virat Kohli’s Birthday) চাই একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪৯ তম সেঞ্চুরি (Virat Kohli’s 49th ODI Century) ! বিরাট কোহলির (Virat Kohli) কাছে এটাই প্রত্যাশা ছিল আপামর তাঁর অনুরাগীদের। কথা রাখলেন বিরাট। করে ফেললেন দেশের জার্সিতে পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে ৪৯ তম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। ঐতিহাসিক মাইলস্টোনে স্পর্শ করে ফেললেন কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরকে (Sachin Tendulkar)। যুগ্ম ভাবে এখন সচিনের সঙ্গে মগডালে বিরাট। আর একটি শতরান করলেই বাইশ গজের ইতিহাসে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক সেঞ্চুরিকারী হয়ে যাবেন তিনি। ‘রাজা’ বসবেন সিংহাসনে। কলকাতায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিরাটের ব্য়াট থেকে এল অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংস। আর তাতেই লেখা হয়ে গেল অধরা ইতিহাস।
বিরাটের ঐতিহাসিক ইনিংসের পর সচিন তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে (সাবেক ট্যুইটার) লেখেন, ‘দারুণ খেলেল বিরাট। দেখো আমার ৪৯ থেকে ৫০ যেতে ৩৬৫ দিন লেগেছে। আমি আশা করি তুমি ৪৯ থেকে ৫০-এ পৌঁছে যাও আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই। আমার রেকর্ড ভেঙে দাও। শুভেচ্ছা।’ সচিন মজার ছলে, সেঞ্চুরির প্রসঙ্গে নিজের জন্মের বছরের কথাই বলেছেন।’ এর আগে সচিন বলেছিলেন, দেখুন ৪৯ তম একদিনের আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির রেকর্ড আমার নয়। এটা ভারতের রেকর্ড। যতক্ষণ এই রেকর্ডে ভারতের সঙ্গে থেকে যাবে, আমি ততক্ষণ খুশি।’ সচিন চলতি বিশ্বকাপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর হিসেবেই আইসিসি-র দেওয়া দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
এদিন ইতিহাস লিখে বিরাট বলেন, ‘আমি বলব এই উইকেটে সুকৌশলে ব্য়াট করতে হয়েছে। আমাদের শুরুটা দারুণ হয়েছিল রোহিত ও শুভমের জন্য়। আমার কাজই ছিল মোমেন্টাম ধরে রাখা। কিন্তু ১০ ওভারের পর বল ধরে আসছিল, উইকেট কিছুটা মন্থর হয়ে গিয়েছিল। আমার ভূমিকাই ছিল ওপেনাররা ব্য়র্থ হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত ব্য়াট করা। আমি সেটাই করে আসছি। এই বার্তাই আমার কাছে আসে। শ্রেয়স খুব ভালো হিট করছিল। আমরা ৩২৬ নিয়ে ভাবিনি। শেষ কয়েক ওভারে খেলাটাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। শ্রেয়স ও আমি প্রচুর অনুশীলন করেছি। এশিয়া কাপের আগেও আমরা তিনে ও চারে ব্য়াট করেছি। আমরা দু’জনেই স্পিনারদের বিরুদ্ধে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারি। বাজে বল গুলো ও ছেড়ে খেলেছে। তার জন্য় সাধুবাদ প্রাপ্য়। দুই উইকেট হারানো এবং দলে হার্দিকের না থাকার জন্য গভীরে গিয়ে ব্য়াট করতেই হত। যেখানে বিপক্ষ ভাবতে পারে যে, এবার ওদের বেঁধে দিতে হবে। ভারতের হয়ে খেলার যে কোনও সুযোগই বড়। জন্মদিনে সেঞ্চুরি পাওয়া স্বপ্নের মতো। ভগবানের আশীর্বাদেই এই মুহূর্ত পেলাম। আমার মনে হয়ে টার্গেট উপরের দিকেই আছে। বল ধরে ধরে আসছে। বোলারদের বোঝা সহজ হবে না। আমাদের দারুণ বোলিং আক্রমণ রয়েছে। উইকেট ধীর গতির হয়ে আসছে, ফলে চাপ বাড়বে দক্ষিণ আফ্রিকার উপর। আশা করি আমরা নতুন বলেই শুরু করব।’ এখন দেখার ভারতের বোলাররা কী করেন।