রাফায়েল নাদালের রাজত্বের পর তাঁকে স্প্য়ানিশ টেনিস জগতের পরবর্তী তারকা হিসাবে মনে করছেন অনেকেই। সেই কার্লোস অ্যালকারাজই এদিন তাঁর যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রমাণ দিলেন যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে। পাঁচ সেটের নাটকীয় লড়াইয়ে বিশ্বের তিন নম্বর টেনিস তারকা স্টেফানোস সিসিপাসকে পরাজিত করে ইতিহাস গড়লেন ১৮ বছর বয়সী তারকা।
১৯৭৩ সালে এটিপি ব়্যাঙ্কিং চালু হওয়ার পর থেকে কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসাবে প্রথম তিনে থাকা টেনিস তারকাকে পরাস্ত করেন অ্যালকারাজ। ম্যাচের প্রথম সেটেই সিসিপাসকে ৬-৩ ব্যবধানে পিছনে ফেলে অ্যালকারাজ এগিয়ে গেলেও ৪-৬ দ্বিতীয় সেট জেতেন। এরপরই শুরু হয়ে চূড়ান্ত নাটক। তৃতীয় সেটে টাইব্রেকারে স্প্যানিয়ার্ড ৭-৬ (২) জিতলেও, চতুর্থ সেটে তাঁকে ০-৬ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে সিসিপাস কড়া বার্তা দেন। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
তবে তাতে দমে যাননি অ্যালকারাজ। পঞ্চম সেটে দুই তরুণের লড়াইয়ে মুগ্ধ হয়ে থাকল যুক্তরাষ্ট্রের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়াম। চার ঘন্টারও অধিক সময়ে এক ঐতিহাসিক লড়াইয়ের পর পঞ্চম সেটও ট্রাইব্রেকারে পৌঁছায় এবং সিসিপাসকে ৭-৬ (৫) ব্যবধানে হারিয়ে সেট ও ম্যাচ নিজের নামে করেন অ্যালারকেজ। প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে পিট স্যামপ্রাস ও মাইকেল চ্যাঙের পর অ্যালকারাজই কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে নিজের জায়গা পাকা করলেন।
ম্যাচের পর বিশ্বের ৫৫ নম্বর কার্লোস বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি জানি না আজ কোর্টে কি হয়েছে। আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি স্টেফানোস সিসপাসকে এক ঐতিহাসিক ম্যাচে পরাস্ত করেছি। আমার জন্য গোটাটাই স্বপ্নের মতো।’ ম্যাচে সামান্য হলেও ক্লান্ত দেখিয়েছে সিসিপাসকে। সেটের মাঝে দীর্ঘ সময় ব্রেক ও খেলার ধরন দেখেই তা বোঝা যায়।