বিসিসিআই নয়, চাপের মুখে নিজেই নতি স্বীকার করল VIVO। আইপিএলের (IPL) ১৩তম মরশুমের স্পনসরশিপ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল চিনা কোম্পানি। শীঘ্রই ঘোষিত হবে তারকাখচিত টুর্নামেন্টের নতুন স্পনসরের নাম।
গত জুনে লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হয়েছিলেন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। তারপর থেকেই দেশজুড়ে চিনাপণ্য বয়কটের দাবি ওঠে। এমনকী চিনকে ভাতে মারতে টিকটক, হ্যালো, শেয়ার ইটের মতো একগুচ্ছ চিনা অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। গোটা দেশ যেখানে চিনের বিরোধিতায় সরব, সেখানে কেন আইপিএলের স্পনসর হিসেবে চিনা কোম্পানিকে রেখে দিচ্ছে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল? সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। এমনকী নেটদুনিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়ে যায় BycottIPL। শেষমেশ উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে নিজেরাই পাত্তারি গোটানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল VIVO।
যদিও আইপিএলের সঙ্গে পুরোপুরি বিচ্ছেদ ঘটছে না তাদের। টুর্নামেন্টের সঙ্গে আরও তিন বছরের চুক্তি বাকি। তবে কোম্পানি চলতি বছর দুই দেশের মধ্যে এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে টাইটেল স্পনসর হিসেবে থাকতে চাইছে না। তাই তারা জানিয়েছে, এবছরের মতো বিরতি নিচ্ছে। ২০২১, ২০২২ এবং ২০২৩- এই তিন বছর থেকে চুক্তির মেয়াদ শেষ করবে। এখন প্রশ্ন হল, তবে কে হবে এবারের আইপিএলের টাইটেল স্পনসর? বিসিসিআইয়ের তরফে বলা হয়েছে, শীঘ্রই নতুন স্পনসরের নাম ঘোষণা করা হবে। তবে অনেকেই মনে করছেন, এই মরশুমে কোনও ভারতীয় কোম্পানিকে মূল স্পনসর হিসেবে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
এদিকে, করোনা জমানায় আইপিএলে বেশ কিছু নিয়ম চালু হচ্ছে। যেমন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে (UAE) প্র্যাকটিসে নামার আগে পাঁচবার করোনা পরীক্ষা হবে ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফদের। টেস্টে পাশ করলে তবেই মাঠে নামার অনুমতি মিলবে। এছাড়াও টুর্নামেন্ট চলাকালীন প্রতি পাঁচদিন অন্তর করোনা টেস্ট হবে ধোনিদের। দেশ ছাড়ার আগে কেউ পজিটিভ হলে তাঁকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। সেখানে আবার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধান দুটি RTPCR টেস্ট হবে। সেটি উতরে গেলে তবেই আমিরশাহী যাওয়া যাবে।
বিদেশি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে আমিরশাহী পৌঁছনোর আগে জোড়া টেস্ট করাতে হবে। পজিটিভ হলে একইরকম বহাল থাকবে কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম। এছাড়া বায়ো-বাবল বা জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম ভাঙলে তাঁকে সাতদিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে।