শরীরি ভাষায় কখনই আগ্রাসী নন অজিঙ্কা রাহানে। তুলনায় লো-প্রোফাইল ক্রিকেটার হওয়ায় স্পটলাইটের আড়ালেই থাকেন। চুপচাপ নিজের কাজ করে যাওয়ায় বিশ্বাসী রাহানে শত সমালোচনাতেও বিচলিত হয়ে মুখ খোলেন না। বরং জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেন ব্যাট হাতেই।
অস্ট্রেলিয়া সফরের পর থেকে ব্যাটে সেভাবে রান না থাকায় চলতি ইংল্যান্ড সফরে বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়তে হয় টিম ইন্ডিয়ার ভাইস ক্যাপ্টেনকে। লর্ডস টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হওয়ার পর ঝাঁকে ঝাঁকে আক্রমণের তির ধেয়ে আসে অজিঙ্কার দিকে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রবল চাপের মুখে দুরন্ত হাফ-সেঞ্চুরি করে রাহানে যাবতীয় সমালোচনার মোক্ষম জবাব দেন।
লর্ডসের চতুর্থ দিনে কোহলি আউট হওয়ার সময় ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল টিম ইন্ডিয়া। সেখান থেকে পূজারার সঙ্গে রাহানের ১০০ রানের জুটিই ভারতের পতন রোধ করে। অজিঙ্কার ৬১ রানের ইনিংসের সুবাদেই ভারত দিনের শেষে লড়াইয়ে টিকে রয়েছে।
এহেন রাহানের পাশে দাঁড়িয়ে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ তাঁর সমালোচকদের মনে করিয়ে দিলেন যে, এই রাহানের নেতৃত্বেই কিন্তু ভারত সর্বকালের সেরা টেস্ট সিরিজ জিতে ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া থেকে।
সোনি স্পোর্টস নেটওয়ার্কের আলোচনায় সেহওয়াগ বলেন, ‘ও (রাহানে) সত্যিই দারুণ ইনিংস খেলেছে। ভাগ্যও ওর সঙ্গে ছিল, যে কারণে ৩৯ রানে (আসলে ৩১) জীবনদান পায়। নিজের ইনিংসে ও সন্তুষ্ট হবে। খুশি না হলেও ৬০ রানের বেশি সংগ্রহ করা তৃপ্তি দেবে ওকে। যদি পঞ্চাশকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করতে পারত, তবে আরও খুশি হতো নিশ্চিত।’
পরক্ষণেই বীরু বলেন, ‘আমরা প্রায়শই ওর সমালোচনা করি। অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয়ের কথা আমাদের ভোলা উচিত নয়। অ্যাডিলেডে ভারত ৩৬ রানে অল-আউট হওয়ার পর ও মেলবোর্নে সেঞ্চুরি করে। ভারত মেলবোর্নে জেতে, সিডনিতে ড্র করে এবং ব্রিসবেনেও জয় তুলে নেয়। আমি মনে করি যে, বিদেশের মাটিতে ওটাই আমাদের সবথেকে বড় সিরিজ জয়। সেটা এসেছে রাহানের নেতৃত্বেই।’