মেয়েদের বক্সিংয়ের ওয়েল্টারওয়েট (৬৪-৬৯ কেজি) বিভাগে সেমিফাইনালে উঠে টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতের দ্বিতীয় পদক জয় সুনিশ্চিত করেন লভলিনা বড়গোহাঁই। চাইনিজ তাইপের নিয়েন-চিন চেনকে ৪-১ ব্যবধানে পরাস্ত করেন ২৩ বছর বয়সী এই ভারতীয় বক্সার।
গোটা দেশ তাঁর সাফল্যে খুশির জোয়ারে ভেসেছে। একাধিক মহল থেকে এসেছে একের পর এক শুভেচ্ছাবার্তা। তবে এখনই কাউকে ধন্যবাদ জানাতে ইচ্ছুক নন অসমের বক্সার। ফাইনালের জন্যই সেটা তুলে রাখতে চান লভলিনা। আপাতত মেডেল জয় সুনিশ্চিত হলেও সোনা জয় ছাড়া অন্য কোন মেডেলের দিকে তাকাতে ইচ্ছুক নন তিনি।
নিজের ঐতিহাসিক জয়ের পর লভলিনা ANI-কে বলেন, ‘আমি এখনই সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই না। ফাইনালের পরেই সবাইকে না ধন্যবাদ জানানো যাবে। আমার লক্ষ্য একটাই সেটা হল গোল্ড মেডেল এবং নিজের লক্ষ্য আমি স্থির। বর্তমানে আমি সেমিফাইনালের জন্যই নিজের প্রস্তুতি সারছি।’
বড় মঞ্চে যেমন সাফল্যের পর অনেক বেশি খ্যাতি লাভ করা যায়, তেমন প্রত্যাশার চাপও থাকে বিশাল। তার ওপর ভারতের মতো সুবিশাল দেশের প্রতিনিধিত্ব করা মুখের কথা নয়। এই কথা অকপটে স্বীকার করে নিচ্ছেন অসমের বক্সার। সেই কারণেই কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতীয় জনগণের বিপুল প্রত্যাশার চাপ ভুলে নিজের সেরাটা দিতেই বদ্ধপরিকর ছিলেন লভলিনা।
তবে লভলিনা পারলেও নিজের বিভাগে মেরি কম পারেননি। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছে ভারতীয় কিংবদন্তিকে। মহম্মদ আলির ভক্ত লভলিনা মেরি কমের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই সাফল্যের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চান।
‘আমি ফুটওয়ার্ক এবং লম্বা পাঞ্চের ক্ষেত্রে মহম্মদ আলিকে অনুসরণ করি। বক্সিং রিংয়ে নামার পর থেকেই আমি মেরি কমের নাম শুনে আসছি। আমি খুবই আনন্দিত যে উনি অলিম্পিক্সে আমাদের সঙ্গে টোকিওতেই আছেন। ওঁকে জীবনে অনেক কিছুর মুখোমুখি হতে হয়েছে। ওঁখে দেখে আমি অনুপ্রেরিত হই।’ জানান লভলিনা।