ওল্ড ট্রাফোর্ডে ভারত-ইংল্যান্ডের শেষ টেস্ট বাতিল হওয়ার জন্য অনেকেই ঘুরিয়ে রবি শাস্ত্রীকে দায়ী করছেন। কারণ ভারতীয় শিবিরে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হন শাস্ত্রীই। তার পর একে একে বাকিরা। মূলত একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যাওয়ার পরেই ভারতীয় দলের হেড কোচ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সে কারণেই ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট বাতিল হওয়ার জন্য তাঁকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। রবি শাস্ত্রী অবশ্য অন্য যুক্তি দেখিয়েছেন।
ভারতীয় দলের হেড কোচের দাবি, ‘পুরো দেশটাই (ইংল্যান্ড) তো খোলা। প্রথম টেস্ট থেকেই যে কোনও কিছু হতে পারত।’ আসলে ব্রিটিশ সরকার করোনার বিধিনিষেধ শিথিল করে দিয়েছে। করোনার জন্য সে ভাবে আলাদা করে কোনও নিয়মও নেই। এমন কী দর্শকদেরও স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে। সেখানেও নিয়মের কোনও বালাই নেই। সব মিলিয়ে যে কেউ যখন তখন করোনায় আক্রান্ত হতেই পারতেন।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
আসলে চতুর্থ টেস্ট চলাকালীনই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী। তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন ভরত অরুণ, আর শ্রীধর এবং নীতিন প্যাটেল। তবে নীতিন প্যাটেলের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে ভরতও অরুণ এবং শ্রীধরের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এর পর গত বৃহস্পতিবার ম্যাঞ্চেস্টারে থাকাকালনীই পঞ্চম টেস্ট শুরুর একদিন আগেই সাপোর্টস্টাফ যোগেশ পারমার করোনা আক্রান্ত হন। তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন বেশ কিছু ক্রিকেটারও। এই ঘটনার পরেই ম্যাচ স্থগিত করে দেওয়া হয় ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট। এখনও পর্যন্ত সিরিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ভারত এই মুহূর্তে ২-১ এগিয়ে রয়েছে।
তবে রবি শাস্ত্রীকে নিয়ে যতই সমালোচনা হোক, সে সবে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নন বিরাট কোহলিদের কোচ। বরং তিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের সাফল্যকে উপভোগ করছেন। তাঁর দাবি, কোচ হিসেবে এটা তাঁর জীবনের বিশাল প্রাপ্তি। রবি শাস্ত্রী বলেছেন, ‘বহু বছর পর ভারতের জন্য এমন একটি সুন্দর গ্রীষ্ম উপভোগ করল ইংল্যান্ড ক্রিকেট। এখন করোনার সময়। তবু টেমসের দু’পারেই ভারত নিজেদের দাপট দেখিয়েছে। কোনও দল এই অতিমারির সময়ে অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডে গিয়ে এত ভাল খেলতে পারেনি। এ কথা বিশেষজ্ঞদের কাছেই জিজ্ঞেস করুন। ভারতের কোচ হিসেবে এর থেকে বেশি তৃপ্তি আমি কখনও পাইনি।’