অঘটন প্রথম নয়, আট বছর আগেও বড় দলকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস

দক্ষিণ আফ্রিকাই প্রথম নয়। এর আগে ইংল্যান্ডকেও এক বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। ২০ ওভারের ক্রিকেটে ডাচরা মাঝেমধ্যেই অঘটন ঘটিয়ে থাকেন। রবিবারের ম্যাচ সেই তালিকায় আরও একটি সংযোজন।

২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। সেটাও আবার ইংরেজদের গর্বের লর্ডসে। টান টান সেই ম্যাচে ৪ উইকেটে জিতেছিল নেদারল্যান্ডস। প্রথমে ব্যাট করে পল কলিংউডের দল করেছিল ৫ উইকেটে ১৬২ রান। জবাবে ৬ উইকেটে ১৬৩ রান করে নেদারল্যান্ডস। ম্যাচের ফয়সালা হয়েছিল শেষ বলে। সেই ম্যাচেও নেদারল্যান্ডসের কোনও ব্যাটারই তেমন বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেননি। একমাত্র টন ডি’গ্রুথ ৩০ বলে ৪৯ রান করেন। তবু দলগত প্রচেষ্টায় ইংল্যান্ডের দেওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ডাচরা।

২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও নেদারল্যান্ডসের কাছে হারতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। সেই ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের ৫ উইকেট ১৩৩ রানের জবাবে মাত্র ৮৮ রানে শেষ হয়ে যায় ইংরেজদের ইনিংস। সে বার প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে যায় ইংল্যান্ড। স্টুয়ার্ট ব্রডের দলের ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটে সেই ম্যাচে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন রবি বোপারা (১৮)। এই ম্যাচেও নেদারল্যান্ডস জিতেছিল দলগত প্রচেষ্টায়। ডাচদের পক্ষে সর্বোচ্চ রান ছিল ওয়েসলি বারেসির ৪৫ বলে ৪৮।উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত দু’বারের সাক্ষাতেই নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছে ইংল্যান্ড।

২০০৯ সালের পর আবার ২০২২। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩ রানে হরিয়ে তাদের প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে দিল ডাচরা। অথচ, এই ম্যাচ জিতলেই প্রতিযোগিতার শেষ চারে চলে যেতেন টেম্বা বাভুমারা। নেদারল্যান্ডসের এই কৃতিত্ব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে ক্রিকেট বিশ্বে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধারাভাষ্যকার হিসাবে যে প্রাক্তন ক্রিকেটাররা রয়েছেন, তাঁরাও নেদারল্যান্ডসের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করছেন।

এ বারের বিশ্বকাপে তথাকথিত দুর্বল দলগুলি একাধিক চমক দেখিয়েছে। আয়ারল্যান্ড হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এবং ইংল্যান্ডকে। জ়িম্বাবোয়ের কাছে হারতে হয়েছে পাকিস্তানকে। সুপার ফোর পর্বের শেষ দিনে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারল দক্ষিণ আফ্রিকা। ছোট দলগুলো এ বারের বিশ্বকাপে বার বার বদলে দিচ্ছে প্রতিযোগিতার রং। বদলে দিচ্ছে অঙ্ক। সেই তালিকা থেকে বাদ থাকল না ডাচরাও। রবিবারের ম্যাচের পর নেদারল্যান্ডসকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জায়ান্ট কিলার বলা যেতেই পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.