সাত ম্যাচে একটিও জয় নেই। লিগ টেবিলে ১১ দলের মধ্যে দশম স্থানে দাঁড়িয়ে দল। তবুও ISL-এর শেষ চারে যাওয়ার আশা ছাড়ছে না এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal)। টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করছে, দলের ধীরে ধীরে ছন্দ ফিরছে। একটি ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়লেই বন্ধ হওয়া চাকা গড়গড়িয়ে চলতে শুরু করবে। এবং সেটা যে সময়ের অপেক্ষা তাও নিশ্চিত লাল–হলুদ শিবির।
রবিবার বিকেলে যাঁরা খেলেনি তাঁরা মাঠে নেমেছিলেন। আর যাঁরা খেলেছিলেন তাদের স্রেফ রিকভারি করানো হয়। সোমবার প্র্যাকটিস বন্ধ। লাল–হলুদ শিবির মনে করছে, গোল খেলেও যে শোধ করা যায় সেই মানসিকতা দলের মধ্যে এসে গিয়েছে। ফলে ঘুরে দাঁড়তে সমস্যা হবে না। সাত ম্যাচ খেলে পয়েন্ট মাত্র তিন। তবু শেষ চারে যাওয়ার অলীক স্বপ্ন দেখার মানে কি? প্রশ্নের জবাবে টিম ম্যানেজমেন্টের একজন গোয়া থেকে ফোনে বলছিলেন, “আমরা বুঝতে পারছি, দলের আসল সমস্যা ঠিক কোথায়। ঠিকমতো প্র্যাকটিস হয়নি। দেরিতে দল করতে নামায় সেভাবে ভাল ফুটবলার জোগাড় করা যায়নি। তবু এই দল নিয়েও ভাল কিছু করা সম্ভব। আসলে আমাদের এখন একটা জয় দরকার। তাহলেই যাবতীয় সমস্যা দূর করা সম্ভব হবে।”
কিন্তু বাধা দূর করা কীভাবে সম্ভব? “আমরা চেন্নাইয়িন ম্যাচে ভাল খেলিনি। বরং সুযোগ ওরাই বেশি পেয়েছিল। সেদিক দিয়ে দেখলে আমরা ম্যাচটা ড্র করে বেঁচেছি। এখানেই একটা ইতিবাচক দিক ফুটে উঠছে। অর্থাৎ ভাল না খেলেও আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারছি। এবার ভাল খেললে কেন আমরা জিততে পারব না? কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে আমরা ভাল খেলেছিলাম। শেষমুহূর্তে গোল খেয়ে ম্যাচটা ড্র হয়ে যায়। সব ম্যাচে তো শেষকালে গোল খাব না।” বললেন ম্যানেজমেন্টের কর্তাটি।
এদিকে, ব্রাইটের এখনও কোয়ারান্টাইন পর্ব চলছে। তিনি মাঠে নামবেন তিন–চারদিন পরে। রাজু গায়কোয়াড়, রিনো অ্যান্টোরা নেমে গিয়েছেন। জানুয়ারি মাসে সেকেন্ড উইন্ডো খুললেই সকলকে পেয়ে যাবেন কোচ ফাউলার। নবাগতদের দিকে ইংলিশ কোচ তাকিয়ে। অ্যারন পুরোপুরি ফিট নন। তাঁকে এখনও রেখে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ব্রাইট এসে কী করেন এখন সকলে সেই দিকে তাকিয়ে। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের কর্তাটি যা ইঙ্গিত দিলেন তাতে ব্রাইটকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছেন তাও কিন্তু নয়। “আমরা এও মনে করছি না, ব্রাইট মাঠে নামলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু একটা ভরসা তিনি জোগাবেন তাও সকলে ভাবতে শুরু করেছে।” বললেন তিনি।