অস্ট্রেলিয়া (Australia) সিরিজের শুরু থেকেই চোট-আঘাত সমস্যায় জর্জরিত টিম ইন্ডিয়া (Team India)। ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি সিরিজে না হলেও টেস্টে একেবারে মিনি হাসপাতালে পরিণত হয়েছে ভারতীয় দল। মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব, কেএল রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা, হনুমা বিহারী, অশ্বিন, বুমরাহর পর তালিকায় যুক্ত হয়েছে নভদীপ সাইনির নামও। দ্বিতীয় ইনিংসে সাইনি যাতে বল করতে পারেন, সেই চেষ্টাই করে চলেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে প্রশ্ন উঠছেই, কেন চোট সমস্যা এত ভোগাচ্ছে ভারতীয় দলকে?
শুধু অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নয়, চোট-আঘাতের এই সমস্যা ঘরের মাঠে আসন্ন ইংল্যান্ড (England) সিরিজেও চাপে ফেলতে পারে ভারতীয় দলকে। একসঙ্গে এতজন ক্রিকেটার চোটের কবলে পড়ায় দল গঠনে কিছুটা হলেও সমস্যা হবেই। অস্ট্রেলিয়া সফরে দলের সঙ্গে রয়েছেন দুই ফিজিও নীতিন প্যাটেল এবং যোগেশ পারমার। এছাড়া কন্ডিশনিং এক্সপার্ট হিসেবে রয়েছেন নিক ওয়েব ও সোহম দেশাই। এঁদের প্রত্যেকের ভূমিকা নিয়েই এবার কিন্তু প্রশ্ন উঠে গেল। কারণ চার অজি বোলার হ্যাজেলউড, কামিন্স, লিঁও, মিচেল স্টার্ক যেখানে লাগাতার তিন টেস্টে বোলিং করেও চোটের কবলে পড়েননি। সেখানে ভারতের পাঁচজন প্রথম সারির বোলার চোট পেয়ে সিরিজের বাইরে চলে গিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে বোর্ডের এক কর্তা জানান, “সৌরভ-জয় শাহের উচিত অবিলম্বে দলের ফিজিও এবং কন্ডিশনিং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা। কারণ এই প্রথম নয়, গত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজেই এই চিত্র দেখা গিয়েছে। এদিকে, ২৭ জানুয়ারি আরটি-পিসিআর টেস্টের পরই চেন্নাইয়ে জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকে যাবে গোটা দল। অর্থাৎ হাতে আর মাত্র ১২দিন। তার মধ্যেই নির্বাচকদের ঠিক করতে হবে কোন কোন ফাস্ট বোলার ইংল্যান্ড সিরিজে সুযোগ পাবেন। কারণ এখন একমাত্র ফিট রয়েছেন ইশান্ত শর্মাই। ভুবি ফিট থাকলেও লাল বলের ক্রিকেটে তাঁকে সচরাচর খেলতে দেখা যায় না।”
চলতি অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ক্রিকেটের বাইরেও অনেক জিনিস নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য। যা কি না শুরু হয় সিডনি টেস্ট থেকে। এবার সামনে এল আরও এক গুরুতর অভিযোগ। এসসিজিতে ম্যাচ চলাকালীন তৃতীয় এবং চতুর্থ দিন ভারতীয় ক্রিকেটারদের বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছিলেন অজি সমর্থকরা। এরই প্রতিবাদে পঞ্চম দিনে এক ভারতীয় সমর্থক ব্যানার নিয়ে মাঠে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু অজি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কৃষ্ণ কুমার নামে ওই সমর্থক জানান, তাঁর হাতে ব্যানারটি দেখার পরই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে আটকে দেন। বলেন, “যেখান থেকে এসেছেন, সেখানে চলে যান।” আর এই খবর সামনে আসার পর ফের নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।