স্কোরবোর্ডে জ্বলজ্বল করছে ১০-১৫! অর্থাৎ মাত্র ১৫টি রান করতেই দশটি উইকেট খোয়ালো দল! বিশ্বাস করাই কঠিন। কিন্তু এটাই সত্যি। বিগ ব্যাশ লিগে মাত্র ১৫ রানে অলআউট হয়ে যায় সিডনি থান্ডার। এই বিভীষিকাময় রাত নিঃসন্দেহে মনে রাখতে চাইবেন না সে দলের ক্রিকেটাররা। কিন্তু অন্য একটি দলের সমর্থকরা নাকি এমন স্কোরবোর্ড দেখে দারুণ খুশি। রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে তারা। আন্দাজ করতে পারেন, কোন দলের কথা হচ্ছে? আজ্ঞে হ্যাঁ, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB)।
ক্রিকেটে নানা অঘটনই ঘটে থাকে। তবে এ যেন বিরলের মধ্যে বিরলতম। কারণ পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ৫.৫ ওভারে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেন সব ক্রিকেটার। অ্যাডিলেড স্ট্রাইকারদের বোলিং দাপটে একজন ব্যাটারও ১০ রানের গণ্ডি পেরতে পারলেন না। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন ব্রেন্ডন ডোগেট। ২ বলে ৪ রান করেন তিনি। ১৪০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে অবিশ্বাস্য ভাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে সিডনি থান্ডারের (Sydney Thunder) ব্যাটিং লাইন আপ।
কিন্তু মজার বিষয় হল, এই স্কোরবোর্ড সামনে আসতেই চর্চায় উঠে আসে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) আরসিবি। কেন? আসলে বিগ ব্যাশ লিগের ইতিহাসে এই লজ্জার স্কোরই সর্বনিম্ন। আর আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম স্কোরের মালিক আরসিবি। ২০১৭ সালে মাত্র ৪৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ব্যাঙ্গালোরের ইনিংস। সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কোহলি। যাঁর দলের আইপিএল ট্রফি আজও অধরা। তবে সিডনির করুণ হাল দেখে যেন মনে মনে স্বস্তিই হচ্ছে আরসিবি সমর্থকদের। তাঁদের সান্ত্বনা, অন্তত তাঁদের দলের থেকেও খারাপ পারফরম্যান্স করেছে কোনও দল। আর সেই নিয়েই চলছে জোর আলোচনা।
একজন লিখেছেন, “৬ ওভারের মধ্যেই শেষ সিডনি। আজ অন্তত আরসিবি ফ্যানরা শান্তিতে ঘুমাতে পারবে।” অন্য এক নেটিজেন লিখেছেন, “স্বপ্নেও ভাবিনি, আরসিবির থেকেও কম রানে শেষ হবে সিডনির ইনিংস।” এবার এ নিয়ে খোদ কোহলি কোনও প্রতিক্রিয়া দেন কি না, সেটাই দেখার।