৯০ মিনিট ধরে টান টান খেলা চলল। প্রথমে এগোল সুইৎজারল্যান্ড। সেই গোল শোধ করে এগিয়ে গেল সার্বিয়া। আবার ম্যাচে ফিরল সুইৎজারল্যান্ড। সমতা ফেরানোর পরে দ্বিতীয় বারের জন্য এগিয়ে গেল তারা। সেই গোল আর শোধ করতে পারল না সার্বিয়া। শেষ পর্যন্ত সার্বিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে গ্রুপ জি থেকে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিল সুইৎজারল্যান্ড।
বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার জন্য জিততে হতে সার্বিয়া-সুইৎজারল্যান্ড দু’টি দলকেই। তাই শুরু থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের খেলা চলতে থাকে। দু’দলই প্রান্ত ব্যবহার করে খেলছিল। ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে যায় সুইৎজারল্যান্ড। দলের হয়ে প্রথম গোল করেন জাদরান শাকিরি। ২০ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে বল পান তিনি। বাঁ পায়ের শটে সার্বিয়ার গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে জড়িয়ে দেন।
গোল খেয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় সার্বিয়া। তার ফলও মেলে। ২৭ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরান সার্বিয়ার স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ। বক্সের মধ্যে থেকে হেডে গোল করেন তিনি। ৩৫ মিনিটের মাথায় খেলায় এগিয়ে যায় সার্বিয়া। এ বার তাদের হয়ে গোল করেন ভ্লাহোভিচ। বাঁ পায়ের শটে সুইৎজারল্যান্ডের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। কিছুটা চাপে পড়ে যায় সুইৎজারল্যান্ড।
বিরতির ঠিক আগে সুইসদের রক্ষাকর্তা হয়ে ওঠেন এমবোলো। সার্বিয়ার রক্ষণের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে গোল করে ২-২ করেন তিনি। ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে এমবোলোর গোলেই জিতেছিল সুইৎজারল্যান্ড। আরও এক বার তাদের হয়ে গোল করলেন ক্যামেরুনে জন্ম হওয়া এই স্ট্রাইকার।
প্রথমার্ধের খেলা দেখে বোঝা যাচ্ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে আরও গোল আসতে চলেছে। সেটাই হল। খেলা শুরুর তিন মিনিটের মাথায় এ বার এগিয়ে যায় সুইৎজারল্যান্ড। গোল করেন রেমো ফ্রুয়েলার।
দ্বিতীয় বারের এগিয়ে যাওয়ার পরে রক্ষণ আরও মজবুত করে দেয় সুইৎজারল্যান্ড। সার্বিয়া অনেক চেষ্টা করলেও সেই রক্ষণ ভাঙতে পারছিল না। মাঝেমধ্যে মাথা গরম করে ফেলছিলেন ফুটবলাররা। বেঞ্চে বসে থাকা সার্বিয়ার রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারকেও হলুদ কার্ড দেখতে হল। অনেক চেষ্টা করেও আর গোল করতে পারেনি সার্বিয়া। ৩-২ গোলে ম্যাচ জিতে ব্রাজিলের পরে দ্বিতীয় দল হিসাবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল সুইৎজারল্যান্ড।