ডোপিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত হলেন সুমিত মালিক। একই সঙ্গে হলেন সাময়িক নির্বাসিত। আর তাই আসন্ন টোকিয়ো অলিম্পিক্সে তাঁর অংশ নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ার দায়ে তাঁকে সাময়িক ভাবে নির্বাসিত করেছে বিশ্ব কুস্তি ফেডারেশন। তাদের একটি সূত্র থেকে এমনই দাবি সংবাদসংস্থার। যদিও এই বিষয়ে ভারতীয় অলিপিক্স সংস্থা, ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশন ও সুমিত মালিকের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও বক্তব্য সামনে আসেনি।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ব কুস্তি ফেডারেশনের এক কর্তা বলেছেন, “সুমিতের ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার ব্যাপারটা ইতিমধ্যেই ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের কর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ জুন ওর ‘বি’ নমুনা দিতে হবে। আমাদের ধারণা সুমিত ওর হাঁটুর ব্যথা কমানোর জন্য কোনও আয়ুর্বেদিক ওষুধ নিয়েছিল। কিন্তু ওর মতো কুস্তিগীরের আরও সজাগ হওয়া উচিত ছিল।”
আগামী ১০ জুন সুমিত তাঁর ‘বি’ নমুনা দেবে। ২০১৮ সালে কমনওয়েলথে সোনা জয়ী কুস্তিগীর দ্বিতীয় পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে তাঁকে আজীবন নির্বাসিত করা হতে পারে। সেটা হলে তাঁর অলিম্পিক্সের অংশ নেওয়ার স্বপ্ন জলে চলে যাবে।
এই নিয়ে অলিম্পিক্সের আগে দ্বিতীয় কোনও কুস্তিগীর ডোপিংয়ের জন্য ধরা পড়লেন। ২০১৬ রিয়ো গেমসের আগে নরসিংহ যাদব ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল অধুনা সাগর রানা হত্যাকাণ্ডে ধৃত সুশীল কুমারের। নরসিংহ চার বছর নির্বাসিত হয়েছিলেন।
গত মাসেই টোকিয়ো অলিম্পিক্সের ছাড়পত্র আদায় করেন সুমিত। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এটাই হতো তাঁর প্রথম অলিম্পিক্স অভিযান। তবে কয়েক দিন আগে বিদেশে একটি প্রতিযোগিতা খেলতে গিয়ে তাঁর ডোপ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরেই তাঁকে সাময়িক ভাবে নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আসন্ন অলিম্পিক্সের সুমিত ছাড়াও ভারতের হয়ে পুরুষদের বিভাগে রয়েছেন রবি দাহিয়া (৫৭ কেজি), বজরং পুনিয়া (৬৫ কেজি) ও দীপক পুনিয়া (৮৬ কেজি)।
এবারের অলিম্পিক্সে আটজন কুস্তিগীর যোগ্যতা অর্জন করেছেন। এঁদের মধ্যে চারজন মহিলা এবং চারজন পুরুষ। কিন্তু ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়ার সংশ্লিষ্ট কুস্তিগীরের অলিম্পিক্স যাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।