এক বা দু’বার নয়, ফাইনালে তিনবার বিশ্বরেকর্ড ভেঙে প্যারালিম্পিক্সে সোনা জিতলেন সুমিত অ্যান্টিল। সোমবার পুরুষদের জ্যাভেলিন থ্রোয়ের এফ-৬৪ বিভাগের ফাইনালে পুরো দুনিয়াকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখলেন।
টোকিয়োর যে স্টেডিয়ামে সপ্তাহখানেক আগে নীরজ চোপড়া সোনা জিতেছিলেন, সেই স্টেডিয়ামে সোমবার আগুন লাগিয়ে দেন সুমিত। এফ-৬৪ বিভাগের ফাইনালের প্রথম থ্রোয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। ছোড়েন ৬৬.৯৫ মিটার। সেখানেই অবশ্য থামেননি সুমিত। দ্বিতীয় থ্রোয়ে সেই রেকর্ডও ভেঙে দেন। যা মিনিট কয়েক আগে গড়েছিলেন। এবার তাঁর বর্শা অতিক্রম করে ৬৮.০৮ মিটার। তৃতীয় এবং চতুর্থ থ্রোয়ে অবশ্য কিছুটা কম দূরত্ব অতিক্রম করে সুমিতের বর্শা (অবশ্যই সুমিতের নিরিখে)। সেই ‘আক্ষেপ’ যেন ফাইনালের শেষ থ্রোয়ে মিটিয়ে নেন সুমিত। তখন তিনি ৬৮.৫৫ মিটার ছুড়ে আরও একবার বিশ্বরেকর্ড ভাঙেন।
সোমবার সুমিত যে কতটা বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন, তা বাকি প্রতিযোগীদের তালিকা দেখেই আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে। সুমিত যে প্রথম থ্রো করেছিলেন, সেটাই শেষপর্যন্ত সোনা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল। কারণ রুপোজয়ী অস্ট্রেলিয়ান অ্যাথলিট মাইকাল বুরিয়ান ছুড়েছেন ৬৬.২৯ মিটার। আর ফাইনালে সুমিত সবথেকে কম ৬৫.২৭ মিটার ছুড়েছেন, সেটাও রুপোর জন্য যথেষ্ট ছিল।
সেই দুরন্ত জয়ের পর সুমিতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘প্যারালিম্পিক্সে আমাদের অ্যাথলিটরা দারুণ খেলছেন। প্যারালিম্পিক্সে সুমিত অ্যান্টিলের রেকর্ড গড়া পারফরম্যান্সের জন্য পুরো দেশ গর্বিত। সোনার পদক জয়ের জন্য সুমিতকে অভিনন্দন। ভবিষ্যতের জন্য তোমায় শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’ সুমিতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীরা।