টানা পাঁচ ম্যাচ পর ফের জয়ের সরণীতে ফিরল এসসি ইস্টবেঙ্গল। রবিবার দুরন্ত ফুটবল খেলে জামশেদপুরকে ২-১ গোলে হারাল লাল-হলুদ ব্রিগেড। দলের হয়ে গোল করলেন স্টেইনম্যান এবং পিলকিংটন। জামশেদপুরের হয়ে একটি গোল শোধ করেন হার্টলে। গ্যালারিতে বসেই টুর্নামেন্টে দলের তৃতীয় জয়ের সাক্ষী থাকলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ রবি ফাউলার।
ফেডারেশনের শাস্তির কারণে এদিন রিজার্ভ বেঞ্চে ছিলেন না ফাউলার। এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোচিংয়ের দায়িত্ব তাই ছিল সহকারী টনি গ্রান্টের উপর। আগের ম্যাচের তুলনায় রবিবার জামশেদপুরের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করেছিল লাল-হলুদ শিবির। দেবজিতের জায়গায় গোল আগলানোর দায়িত্ব পান সুব্রত পাল। রক্ষণে নেভিলের জায়গায় সুযোগ পান চোট সারিয়ে ফেরা রাজু গায়কোয়াড। প্রথম একাদশে ঢোকেন সার্থক গলুইও। আর আক্রমণে একসঙ্গে শুরু করেন স্টেইনম্যান, মাঘোমা, ব্রাইট, পিলকিংটন।
প্লে-অফের আশা প্রায় নেই বললেই চলে। তবে দলকে জয়ে ফেরাতেই হয়তো লাল-হলুদ কোচ এতটা আক্রমণাত্মকভাবে দল সাজিয়েছিলেন। আর ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। এদিন ম্যাচ শুরুর ৬ মিনিটেই স্টেইনম্যানের গোলে এগিয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। নারায়ণ দাসের দুরন্ত কর্নার থেকে গোল করতে ভুল করেননি জার্মান এই ফুটবলারটি। তবে শুধু গোল করাই নয়, জামশেদপুরের প্রতিটি আক্রমণও শুরু থেকেই রুখে দিয়েছেন ড্যানি ফক্স-রাজু গায়কোয়াডরা। গোল করার পর প্রথমার্ধে আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ এসে গিয়েছিল ব্রাইটদের কাছে। কিন্তু প্রথম ৪৫ মিনিটে আর কোনও গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও দুরন্ত করেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। এই সময় বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে জামশেদপুর। এই সময় ভালস্কিসের একটি শট পোস্টেও লাগে। কিন্তু উলটে লাল-হলুদের হয়ে ব্যবধান বাড়ান পিলকিংটন। ৬৮ মিনিটে সেই স্টেইনম্যানের দুরন্ত পাস থেকেই দলের দ্বিতীয় এবং নিজের প্রথম গোলটি করেন তিনি। কিছু সময় পর তাঁর আরও একটি শট পোস্টে লেগে ফেরেদি। যদিও ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে কর্নার থেকে একটি গোল শোধ করে জামশেদপুর। কিন্তু তাতে লাল-হলুদের জয় আটকায়নি।