অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। সাদা বলের লড়াইয়ে দলের সাফল্যে আত্মহারা হয়েছিলেন সঙ্কটে থাকা দ্বীপরাষ্ট্রের ক্রিকেটপ্রেমীরা। দিমুথ করুণারত্নেরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ অমীমাংসিত রাখতে পারলে অনিশ্চয়তার মধ্যে আরও এক বার উচ্ছ্বাসের সুযোগ পাবেন তাঁরা।
গলে দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় পাওয়া খুব কঠিন নয় শ্রীলঙ্কার। কারণ বৃহস্পতিবার ম্যাচের শেষ দিনে জয়ের জন্য বাবর আজমদের দরকার ৪১৯ রান। গলের স্পিন সহায়ক উইকেটে পঞ্চম দিনে যা বেশ কঠিন। অন্য দিকে আয়োজকদের নিতে হবে ৯ উইকেট। উল্লেখ্য, প্রথম টেস্টে সুবিধাজনক জায়গায় থেকেও হেরে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
তৃতীয় দিনের শেষে দিমুথ করুণারত্নেদের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ছিল ৫ উইকেটে ১৭৬ রান। বুধবার ৮ উইকেটে ৩৬০ রান তুলে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। আগের দিন করুণারত্নের সঙ্গে ২২ গজে অপরাজিত ছিলেন ধনঞ্জয় ডিসিলভা। ৫ উইকেটে ১১৭ রান থেকে তাঁদের দু’জনের ব্যাটে ভর করেই এগোল শ্রীলঙ্কা। ষষ্ঠ উইকেটে তাঁদের জুটিতে উঠল ১২৬ রান। শ্রীলঙ্কার অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল ৬১ রান। করুণারত্নে আউট হওয়ার সময় শ্রীলঙ্কার রান ছিল ৬ উইকেটে ২৪৩। শেষ পর্যন্ত ধনঞ্জয় ১০৯ রান করলেন। টেস্টে নবম শতরান করার পথে মারলেন ১৬টি চার। নয় নম্বরে নেমে রমেশ মেন্ডিস করেন অপরাজিত ৪৫ রান।
ম্যাচের তৃতীয় দিন পাকিস্তানের বোলারদের যতটা কার্যকর দেখিয়েছিল, চতুর্থ দিন ততটা দেখায়নি। সেই সুযোগেই জয়ের জন্য পাকিস্তানের সামনে ৫০৮ রানের লক্ষ্য রাখে আয়োজকরা। সফরকারীদের সফলতম বোলার নাসিম শাহ ৪৪ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। ৭৫ রানে ২ উইকেট মহম্মদ নাওয়াজের।
জবাবে দিনের শেষে পাকিস্তানের রান ১ উইকেটে ৮৯। দ্বিতীয় ইনিংসেও রান পেলেন না প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক অবদুল্লা শফিক (১৬)। অধিনায়ক বাবরের সঙ্গে অপরাজিত আছেন আরেক ওপেনার ইমাম উল-হক। বাবর ২৬ এবং ইমাম ৪৬ রান করেছেন। শফিককে সাজঘরে ফিরিয়েছেন প্রভাথ জয়সূর্য।