বিদেশের মাটিতে আইপিএল। তার উপর আবার মহামারীর আবহে। স্বাভাবিকভাবেই মেগা টুর্নামেন্টে ডোপিং একটা বড় চিন্তার কারণ হতে পারে। তাই আগেভাগে ব্যবস্থা নিয়ে রাখছে ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি। আইপিএল যাতে কোনওভাবেই ডোপ বিতর্কের জন্য শিরোনামে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে সবরকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
নাডা সূত্রের খবর, ক্রিকেটারদের উপর নজর রাখতে নাডার তরফে ৩ জন শীর্ষ কর্তা এবং ৬ জন ডোপ কন্ট্রোল অফিসার যাচ্ছেন আমিরশাহীতে। প্রয়োজনে আগামী দিনে আরও আধিকারিক পাঠানো হতে পারে। শারজা, আবু ধাবি এবং দুবাই, এই তিনটি মাঠেই NADA’র একটি করে দল উপস্থিত থাকবে। প্রতি দলে দুজন করে ডোপ কন্ট্রোল অফিসার এবং একজন করে NADA’র আধিকারিক উপস্থিত থাকবেন। আর যে দুটি অনুশীলনের মাঠ থাকছে সেখানে উপস্থিত থাকবেন আমিরশাহীর অ্যান্টি ডোপিং অর্গানাইজেশনের কর্তারা। গোটা টুর্নামেন্টে মোট ৫০ জন ক্রিকেটারের নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলেও জানিয়েছেন NADA’র কর্তারা। বিদেশের মাটিতে টুর্নামেন্ট হওয়া সত্ত্বেও এহেন ব্যবস্থা রীতিমতো চমকপ্রদ।
এদিকে নাডার কড়াকড়ির মধ্যেই আর্থিক দিক থেকে সুখবর পেয়ে গেল বিসিসিআই (BCCI)। সূত্রের খবর, আইপিএলের নতুন ‘অফিসিয়াল পার্টনার’ হচ্ছে ‘আনঅ্যাকাডেমি’। শোনা যাচ্ছে ৩ বছরের জন্য বোর্ডের সঙ্গে ১২০-১৩০ কোটি টাকার চুক্তি করেছে সংস্থাটি। যদিও সরকারিভাবে এই স্পনসরশিপের কথা এখনও ঘোষণা করেনি বোর্ড। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই এবছরের টাইটেল স্পনসর হিসেবে Dream 11 এর নাম ঘোষণা করে ফেলেছে বোর্ড। ওই সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে একবছরের। আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপের জন্য Dream 11 বোর্ডকে দিচ্ছে ২২০ কোটি টাকা। জন্য সেই সঙ্গে যুক্ত হল আনঅ্যাকাডেমির প্রায় ৪০ কোটি টাকা। অর্থাৎ দুই স্পনসর মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ২৬০ কোটি টাকা তুলতে পারছে বোর্ড। শোনা যাচ্ছে, বিসিসিআই আইপিএলের জন্য আরও কয়েকটি স্পনসর আহ্বান করছে।