প্রত্যাবর্তনেই নিজের মানসিক দৃঢ়তার প্রমাণ দিলেন সিমোনে বাইলস। বিমে ব্রোঞ্জ জিতলেন বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা জিমন্যাস্ট। যা তাঁর কেরিয়ারের সপ্তম অলিম্পিক্স পদক।
মঙ্গলবার আরিয়েক জিমন্যাস্টিক্স সেন্টারে আটজনের বিম ফাইনালে ১৪ স্কোর করেন। সোনা এবং রুপো গিয়েছে চিনের দখলে। ১৪.৬৩৩ স্কোর করে সোনা জিতেছেন চেনচেন গুয়ান। রুপো জিতেছেন শিজিং ট্যাং (১৪.২৩৩)।
‘মানসিক স্বাস্থ্যে’ নজর দেওয়ার জন্য গত সপ্তাহে আর্টিস্টিক জিমন্যাসটিক্সের দলগত ফাইনাল থেকে নাম তুলে নিয়েছিলেন ২৪ বছরের তারকা। পরে অল-অ্যারাউন্ড ফাইনাল-সহ একাধিক দলগত ইভেন্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। মার্কিন জিমন্যাসটিক্সের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিজের মানসিক স্বাস্থ্যে নজর দিতে টোকিও অলিম্পিক্সের ব্যক্তিগত অল-অ্যারাউন্ড ফাইনাল থেকে নাম তুলে নিয়েছেন সিমোনে বাইলস। আগামী সপ্তাহের ব্যক্তিগত ইভেন্টের ফাইনালে সিমোনে অংশগ্রহণ করবেন, নাকি করবেন না, তার জন্য তাঁর উপর নজর রাখা হচ্ছে। আমরা আন্তরিকভাবে সিমোনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছি এবং নিজের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর সাহসিকতার প্রশংসা করছি। তাঁর সাহস আবারও প্রমাণ করল যে কেন তিনি এত মানুষের আদর্শ।’ সেই জল্পনার মধ্যে বিম ফাইনালে নামেন বাইলস। মঙ্গলবার ফাইনাল শুরুর ৯০ মিনিট আগেই ফ্লোরে চলে আসেন মার্কিন তারকা। স্নায়ুর চাপ থাকলেও তা বুঝতে দেননি। আর পাঁচটা দিনের মতো ওয়ার্ম-আপ করতে থাকেন। শেষপর্যন্ত সোনা না জিতলেও আবারও নিজের প্রিয় জায়গা পোডিয়ামে ফিরে বড়সড় বার্তা দিলেন বাইলস।