১৯৮৮ সালে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় এক বছরের কারাবাসের সাজা হয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর। শীর্ষ আদালতের রায়ে পঞ্জাব কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা শুক্রবার থেকে পাটিয়ালা জেলের সাত নম্বর ব্যারাকের বাসিন্দা।
ক্রিকেট জীবনে দেশের প্রথম সারির ওপেনিং ব্যাটার ছিলেন সিধু। এক সময় তিনি ছিলেন বিশ্বের এক মাত্র ব্যাটার যাঁর টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটে ব্যাটিং গড় ছিল ৪০-এর উপর। সে সময় সিধুর টেস্ট টুপির নম্বর ছিল ১৬৬। অর্থাৎ, ভারতের ১৬৬তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সিধুর।
২০০০ সালে বাইশ গজকে বিদায় জানানো সিধুর নম্বর এখন ২৪১৩৮৩। এই নম্বরই তাঁর বর্তমান পরিচয়। পঞ্জাবের পাটিয়ালা জেলের ২৪১৩৮৩ নম্বর কয়েদি তিনি। তিন দশকের পুরনো অনিচ্ছাকৃত খুনের ঘটনার সাজা হিসেবে আগামী এক বছর এই পরিচয় বহন করতে হবে সিধুকে।
৫৮ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটারকে জেলে দিন কাটাতে হবে তাঁর অন্যতম রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ শিরোমণি অকালি দলের নেতা বিক্রম সিংহ মাজিথিয়ার সঙ্গে। একটি মাদক মামলায় তিনিও বন্দি পাটিয়ালা জেলে। উল্লেখ্য, পঞ্জাবের গত বিধানসভা নির্বাচনে অমৃতসর পূর্ব আসনে সিধুর বিরুদ্ধেই প্রার্থী ছিলেন বিক্রম।
জেলে কাজ করে দিনে সর্বোচ্চ ৯০ টাকা আয় করতে পারবেন সিধু। তা নির্ভর করবে তাঁর কাজের দক্ষতার উপর। অনেকটা ক্রিকেট খেলার সময়ের জীবনের সঙ্গে তাঁকে মানিয়ে নিতে হবে। জেলের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠতে হবে তাঁকে। সকাল সাতটায় দেওয়া হবে চা-বিস্কিট। এর পর সাড়ে আটটার সময় ছ’টি চাপাটি এবং সবজি খেতে দেওয়া হবে। সকাল ন’টা থেকে জেলারের নির্দিষ্ট করে দেওয়া কাজ করতে হবে সিধুকে। কাজ চলবে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। সন্ধ্যা ছ’টার সময় দেওয়া হবে নৈশাহার। থাকবে ছ’টি চাপাটি এবং সবজি। সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে তাঁকে ঢুকে যেতে হবে ব্যারাকে।
প্রথম তিন মাস অবশ্য কাজের জন্য কোনও পারিশ্রমিক পাবেন না সিধু। কারণ, প্রথম তিন মাস বন্দিদের কাজের প্রশিক্ষণের সময় হিসেবে ধরা হয়। একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে সিধুর ক্ষেত্রেও।