এই মরশুমে একেবারেই ছন্দে নেই এটিকে মোহনবাগানের তারকা স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণ। প্রথমে তাঁর কোভিড হয়েছিল। তার পর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট। যে কারণে এই মুহূর্তে বড় বেশি বিবর্ণ ফিজির তারকা। কোভিড বা চোটের আগেও যে আহামরি পারফরম্যান্স করেছেন তিনি, তা কিন্তু নয়। যে ভাবে রয় আগে গোলের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন, এ বার সেই জাদুটাই উধাও। কৃষ্ণের বাঁশি এ বার আর বাজছেই না। ১২ ম্যাচ খেলে মাত্র ৪টি গোল করেছেন রয়। আর ৪টি গোল করিয়েছেন। এই পরিসংখ্যান রয় কৃষ্ণের মতো গোলমেশিনের জন্য মোটেও সুখের নয়।
তবে রয় কৃষ্ণের খারাপ সময়ে তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছেন দলের কোচ জুয়ান ফেরান্দো। বলছেন, মাঠে নেমে সেরাটা না দিতে পারলেও, নেপথ্য নায়ক নাকি ফিজির তারকাই। বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে বাগানের স্প্যানিশ কোচ দাবি করেছেন, ‘ওর কোভিড হয়েছিল, চোটও হয়েছিল। দু’টোর মধ্যে সম্পর্ক তো থাকেই। কিন্তু সমর্থকেরা অনেকেই জানেন না রয় অসুস্থ থাকার সময় বা চোট পেয়ে দলের বাইরে থাকার সময় কী ভাবে দলের ছেলেদের সাহায্য করেছে। সব সময় দলের ছেলেদের উজ্জীবিত করেছে, সব সময় ওদের পরামর্শ দিয়েছে, কারও সমস্যা হলে তাকে তা সমাধানে সাহায্য করেছে। এই ভাবে ও দলকে সমানে সাহায্য করে গিয়েছে। মাঝে মাঝে আমরা ওকে ম্যাচে বা অনুশীলনে থাকতে বারণ করেছি ওর ভালর জন্য। তাই সবাইকে জানানোর এটাই সবচেয়ে ভাল সময় যে, হয়তো রয়কে টিভিতে দেখে অনেকের মনে হয়েছে ও ভাল অবস্থায় নেই। কিন্তু নেপথ্যে রয় কিন্তু সেরা ফর্মে রয়েছে।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
গত ম্যাচে রয়কে লাল-কার্ড দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেরান্দো বলেছেন, ‘প্রথম হলুদ কার্ড দেখানোর সিদ্ধান্তটা হতাশাজনক। দ্বিতীয়টা অবশ্যই হলুদ কার্ড দেখানোর মতোই পরিস্থিতি ছিল। তবে রেফারির সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করতেই হবে। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা দেওয়া রেফারির দায়িত্ব। তারা সেই দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতে পারেননি বলেই অনেক খেলোয়াড় চোট পেয়েছে। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্ত মানতেই হবে।’