দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগেই বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গিয়েছিল পর্তুগাল। দক্ষিণ কোরিয়াকে হারালে এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম দল হিসাবে গ্রুপের তিনটে ম্যাচই জিততেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোরা। কিন্তু সেটা হল না। অন্তত দু’বার গোল করার কাছে পৌঁছে গিয়েও গোল করতে পারলেন না রোনাল্ডো। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে পর পর দু’টি ম্যাচে খালি হাতেই ফিরতে হল তাঁকে। দেখে মনে হচ্ছিল খেলা ড্র হবে। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে জয়ের গোল করলেন হুয়াং হিচান। ২-১ গোলে পর্তুগালকে হারিয়ে বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল দক্ষিণ কোরিয়া। গ্রুপের শীর্ষে থেকে শেষ ষোলোয় গেলেন রোনাল্ডোরা।
ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণের ঝড় তোলে পর্তুগাল। তার ফলেও মেলে। ৫ মিনিটের মাথায় পর্তুগালকে এগিয়ে দেন রিকার্ডো হোর্তা। ডান প্রান্তে বল পেয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে ক্রস বাড়ান ডালট। ডান পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে দেন হোর্তা। গোল খাওয়ার পরে গোল করার জন্য আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় দক্ষিণ কোরিয়া। সন হিউং মিনের নেতৃত্বে সামনে এগোতে থাকে তারা। কিছুটা চাপে পড়ে য়ায় পর্তুগাল।
২৭ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে গোল শোধ করেন দক্ষিণ কোরিয়ার কিম ইয়ং গুয়ান। বল রোনাল্ডোর পিঠে লেগে তাঁর কাছে আসে। গোল করতে ভুল করেননি দলের স্ট্রাইকার।
৩ মিনিট পরেই গোল করার সুযোগ এসেছিল রোনাল্ডোর কাছে। সামনে শুধু ছিলেন কোরিয়ার গোলরক্ষক। কিন্তু তাঁকে পরাস্ত করতে পারেননি রোনাল্ডো। প্রথমার্ধের বিরতির আগে আরও এক বার সুযোগ রান রোনাল্ডো। ভিতিনহার ক্রসে বক্সের মধ্যে ফাঁকায় হেড করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাইরে চলে যায় বল। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, দিনটা তাঁর নয়।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের খেলা চলতে থাকে। দু’দলই গোল করার সুযোগ পাচ্ছিল। কিন্তু গোল করতে পারছিল না। ৬৮ মিনিটের মাথায় রোনাল্ডোকে তুলে নেন পর্তুগাল কোচ। শেষ দিকে গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন সনরা। কারণ, জেতা ছাড়া পরের রাউন্ডে যাওয়ার কোনও সুযোগ ছিল না তাঁদের।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে নিজেদের অর্ধ থেকে প্রতি আক্রমণে পর্তুগালের বক্সের কাছে পৌঁছে যান সন। নিজের নিয়ন্ত্রণে বল রাখার পরে তিনি বাড়ান হিচানের উদ্দেশে। পর্তুগালের গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে জড়িয়ে দেন হিচান। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফেরার কোনও সুযোগ ছিল না পর্তুগালের। শেষ পর্যন্ত হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।