রোহিতদের চিন্তা, দু’টি ম্যাচে শেষ বলে জয়, একটিতে হার! কোথায় উন্নতি করতে হবে ভারতকে

এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত চারটি ম্যাচের তিনটিতে জয় পেলেও রোহিত শর্মাদের চিন্তা রয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ বলে গিয়ে ম্যাচ জিতেছিল ভারত। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে সহজ জয় পেলেও তাদের ১০টি উইকেট তুলতে পারেননি মহম্মদ শামিরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হেরেই যায় ভারত। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বৃষ্টি না হলে চিন্তা বাড়তে পারত রোহিতদের। এমন অবস্থায় রবিবার জিম্বাবোয়েকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠলেও বেশ কিছু জায়গা নিয়ে ভাবতে হবে রাহুল দ্রাবিড়দের।

পাওয়ার প্লে-তে উন্নতি

এখনও পর্যন্ত প্রথম ৬ ওভারে সে ভাবে খেলতে পারেনি ভারত। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্কোর ছিল ৩১/৩। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৩২/১। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩৩/২। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩৭/১। প্রতিটি ম্যাচেই পাওয়ার প্লে-তে উইকেট হারিয়েছে ভারত। কখনও রোহিত রান পাননি, কখনও লোকেশ রাহুল। পাওয়ার প্লে-তে অন্য দল যখন ৫০-৬০ রান তুলছে, ভারত আটকে থাকছে ৩০ রানের ঘরে।

নতুন বলে উইকেট নেই

বুধবার বাংলাদেশের লিটন দাস একাই ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের। পাওয়ার প্লে-তে তিনি যে ভাবে ভারতীয় বোলারদের মাঠের বাইরে পাঠাচ্ছিলেন তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নতুন বলে উইকেট নিতে হবে ভারতকে। আরশদীপ সিংহ যে কাজটা করে থাকেন, সেটা প্রতি ম্যাচেই প্রয়োজন। শুরুতেই বিপক্ষকে ধাক্কা দিতে না পারলে বিপদে পড়বে ভারত। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের মতো দলের বিরুদ্ধে খেলতে হলে নতুন বলে উইকেট অবশ্যই প্রয়োজন। অ্যালেক্স হেলস, জস বাটলারদের শুরুতেই ফেরাতে না পারলে তাঁরা যে কী করতে পারেন, সেটা এ বারের বিশ্বকাপেই দেখা গিয়েছে।

ডেথ ওভারের বোলিং

যশপ্রীত বুমরার অভাব একটা জায়গাতে এখনও বুঝতে পারছে ভারত। সেটা অবশ্যই ডেথ ওভার। অনেক ম্যাচেই রান হয়ে যাচ্ছে এই ওভারগুলোতে। পাকিস্তান ম্যাচে শেষ দিকে রান উঠে যায়। এর ফলে রানের লক্ষ্য অনেকটাই বেশি হয়ে গিয়েছিল। আরশদীপ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হাতে ২০ রান পেয়েছিলেন বলে বেঁচে যান। নইলে তাঁর ওই ওভারে ১৪ রান নিয়েছিল বাংলাদেশ। তা নেহাত কম নয়। হার্দিক পাণ্ড্যকেও ডেথ ওভারে বল করানো হচ্ছে। কিন্তু তিনিও সে ভাবে সফল নন।

ফিল্ডিং

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচের পর থেকে ফিল্ডিং উন্নতি করেছে ভারতের। আশা করা হচ্ছে ক্যাচ ফেলা, রান আউট ফস্কানোর রোগ সারিয়ে ফেলেছেন রোহিতরা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লোকেশ রাহুল সোজাসুজি থ্রোয়ে উইকেট ভেঙে দেন। লিটনের উইকেট ও ভাবে না নিতে পারলে ম্যাচ কঠিন হত। তাই সেমিফাইনালে উঠলেও ফিল্ডিংয়ে নিজেদের সেরাটাই দিতে হবে ভারতকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.