ফাইনালে ওঠার মহারণই বটে। আইপিএলের কোয়ালিফায়ারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই প্রত্যাশিত ছিলই। মুম্বই ইনিংস দেখার পর বলাই যায় যে সে প্রত্যাশায় ভাটা পড়েনি। একদিকে যখন ফের হাফ-সেঞ্চুরি করে হাততালি কুড়োলেন সূর্যকুমার যাদব, তখন অশ্বিনের বলে শূন্য রানে মাঠ ছাড়লেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। আবার চারবারের চ্যাম্পিয়নের ব্যাটিং-অর্ডারে যখন ধাক্কা দেন নর্ৎজে, স্টয়নিসরা, তখন ঈশান কিষাণ ও হার্দিকের দাপটে পাঁচ উইকেটে ২০০ রানে পৌঁছে যায় মুম্বই। দিল্লির টার্গেট ২০১।
আইপিএল (IPL) ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের মালিক রোহিত। কিন্তু প্লে-অফে বরাবরই তাঁর গ্রাফ মন্দ। ১৯ ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ ২২৯ রান। গড় ১২.৭২। সেই ফাঁড়া এবারও কাটল না। আর বৃহস্পতিবার অজান্তেই লজ্জার একটি রেকর্ড গড়ে ফেললেন আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানের পাশে লেখা তাঁর নাম। এই আইপিএলে এই নিয়ে ১৩ বার কোনও রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন রোহিত। একই রেকর্ড রয়েছে চেন্নাইয়ের হরভজন সিং ও আরসিবির পার্থিব প্যাটেলেরও। ‘আনলাকি ১৩’ সংখ্যাটিই মুম্বইয়ের ফাইনালে পৌঁছনোর পথ দুর্গম করে দেবে কি না, তা জানতে আরও খানিকক্ষণ অপেক্ষা করতেই হবে। তবে প্রশ্ন উঠছে, হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সারিয়ে তিনি সম্পূর্ণ ফিট তো? কারণ পরপর দুটি ম্যাচেই ব্যর্থ হিটম্যান।
তবে রোহিত মুখ থুবড়ে পড়লেও এদিনও নজরকাড়া পারফরম্যান্স জাতীয় দলে ‘পাত্তা’ না পাওয়া ব্যাটসম্যান সূর্যকুমারের। ৫১ রান করে দলকে অনেকটা এগিয়ে দেন তিনি। ওপেনার কুইন্টন ডি’ককও ২৫ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। কিন্তু অশ্বিন (R Ashwin) এদিন ছিলেন জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেওয়ার মেজাজে। রোহিতকে এলবিডব্লিউ করার পাশাপাশি ডি’কক ও পোলার্ডের মতো দুটি মূল্যবান উইকেট তুলে নিয়ে বেশ চাপে ফেলে দেন মুম্বইকে। তবে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন ঈশান (৫৫) ও হার্দিক (৩৭)। একটি করে উইকেট নেন নর্ৎজে ও স্টয়নিস। তবে দিল্লি দলের ক্রিকেটারদের কালো আর্ম ব্যান্ড পরে মাঠে নামতে দেখে কৌতূহলী হয়ে পড়েন ক্রিকেটপ্রেমীরা। আবার কী দুর্ঘটনা ঘটল, জানতে চান অনেকেই।
আসলে দলের অন্যতম তারকা মোহিত শর্মার পিতৃবিয়োগ ঘটেছে। যার জন্য টুর্নামেন্টের মাঝেই দেশে ফিরে আসছেন তিনি। মোহিতের প্রয়াত বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতেই আর্ম ব্যান্ড পরেন শ্রেয়সরা। চলতি মরশুমে একটিই ম্যাচ খেলেছেন মোহিত। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে নিয়েছিলেন একটি উইকেট।