সেমিফাইনাল, ফাইনাল ম্যাচে বরাবরই ব্যর্থ হন রোহিত। তাঁর টিম যতবারই IPL জিতুক, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রোহিত শর্মার ব্যাট থেকে রান আসে না। কোয়ালিফায়ার ওয়ানে ব্যর্থ হতেই চারিদিকে এভাবেই সমালোচনা শুরু হয়েছিল হিটম্যানের।
কিন্তু দুবাইয়ে আইপিএলের ফাইনালে এ যেন এক অন্য রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। চোট, অস্ট্রেলিয়া সিরিজে প্রথমদিকে দলে নাম না থাকা–সমস্ত কিছুর জবাব যেন এদিনই দিয়ে দিলেন। নিজের ২০০ তম আইপিএল ম্যাচে খেললেন অধিনায়কোচিত ইনিংস। ইশান কিষান, ডি’কক, সূর্যকুমাররাও তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন। আর ব্যাটে–বলে দুরন্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে পাঁচ উইকেটে দিল্লিকে হারিয়ে পঞ্চমবার আইপিএল খেতাব জিতে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians)। গতবারের পর এবারও।
মঙ্গলবার অবশ্য টস জেতেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়স। কিন্তু প্রথমে ব্যাটিংয়ের তাঁর সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়। কারণ শুরুতেই বোল্টের দাপটে ফিরে আসে কোয়ালিফায়ার ওয়ানের স্মৃতি। সেদিন শূন্য রানেই তিন উইকেট পড়ে গিয়েছিল দিল্লির। আর এদিন প্রথম বলেই আবার আউট হন হায়দরাবাদ (Sunrisers Hyderabad) ম্যাচের নায়ক মার্কাস স্টইনিস। দু’ওভার পর ২ রান করে আউট হন আজিঙ্ক রাহানেও। আর দু’জনেই আউট করেন বোল্ট। অন্যদিকে, ১৫ রান করে বোল্ড হন ধাওয়ানও।
এরপর অবশ্য পালটা লড়াই শুরু করেন শ্রেয়স আয়ার এবং ঋষভ পন্থ। দু’জনে মিলে ইনিংসের হাল ধরেন। ঋষভ ৩৮ বলে ৫৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। মারেন ৪টি চার ও ২টি ছয়। শ্রেয়স করেন ৫০ বলে অপরাজিত ৬৫ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে দিল্লি (Delhi Capitals) করে ১৫৬ রান। মুম্বইয়ের হয়ে চার ওভারে ৩০ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন বোল্ট। তবে বুমরাহ কোনও উইকেট পাননি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন রোহিত–ডি’কক। ডি’কক ২০ রান করে আউট হলেও উলটোদিকে নিজস্ব ঢংয়ে ব্যাট করতে থাকেন রোহিত। তবে তাঁর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতেই ১৯ রানে রানআউট হন সূর্যকুমার। এরপর ইশানকে সঙ্গে নিয়ে রান তাড়া করতে থাকেন রোহিত। শেষে যখন আউট হন ম্যাচ তখন প্রায় মুম্বইয়ের পকেটে। ৫১ বলে ৬৮ রান করেন হিটম্যান। মারেন ৫টি চার ও ৪টি ছয়। শেষপর্যন্ত ইশান, পোলার্ড–হার্দিকরা মিলে ৮ বল বাকি থাকতেই মুম্বইকে কাঙ্খিত জয় এনে দেয়।
গোটা টুর্নামেন্টেই দুরন্ত ফর্মে ছিলেন মুম্বই ক্রিকেটাররা। প্রথম ম্যাচ হারলেও তারপর দুরন্তভাবে ফিরে আসেন রোহিতরা। খেলেন গতবারের চ্যাম্পিয়নের মতোই। দলের হয়ে যেমন দুরন্ত ব্যাটিং করেন ইশান কিষান–সূর্যকুমাররা। তেমনই দুরন্ত বোলিং করেন বোল্ট–বুমরাহ জুটি।