ভারত এবং পাকিস্তান ম্যাচে দুই দেশই নির্ধারিত সময়ে সব ওভার শেষ করতে পারেনি। মন্থর ওভার রেটের কারণে বড় জরিমানা করল আইসিসি। দু’দেশের ক্রিকেটারদের ৪০ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে দুই দেশই দু’ওভার করে কম বল করেছিল। প্রতি ওভার পিছু ২০ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা করা হয়েছে।
ওই ম্যাচে আইসিসি-র ম্যাচ রেফারি ছিলেন জেফ ক্রো। তিনি দু’দেশের অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং বাবর আজমকে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। দুই অধিনায়ক নিজেদের ভুলের কথা স্বীকার করে নেওয়ায় সরকারি শুনানির দরকার নেই। রোহিত এবং বাবরের বিরুদ্ধে ওভার কম করার অভিযোগ এনেছিলেন মাঠে থাকা আম্পায়ার মাসুদুর রহমান, রুচিরা পিল্লিয়াগুরুগে, তৃতীয় আম্পায়ার রবীন্দ্র উইমালাসিরি এবং চতুর্থ আম্পায়ার গাজি সোহেল।
ওভার কম করার কারণে মাঠেও শাস্তি পেতে হয়েছে দুই দেশকে। যে দু’ওভার কম হয়েছে, সেই সময়ে ৩০ গজ বৃত্তের মধ্যে অতিরিক্ত এক জন ফিল্ডার রাখতে হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ম্যাচের ক্ষেত্রে। ভারত বল করার সময় পাকিস্তানের শাহনওয়াজ দাহানি শেষ দুই ওভার চালিয়ে খেলে দলের রান প্রায় দেড়শোর কাছাকাছি পৌঁছে দেন। ভারত ব্যাটিং করার সময় শেষ দুই ওভার ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়। হ্যারিস রউফকে তিনটি চার মেরে ভারতকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন হার্দিক পাণ্ড্য। ভারত ম্যাচ জেতে পাঁচ উইকেটে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান ম্যাচের পরে বিসিসিআই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে হার্দিকের। সেখানে তিনি বলেছেন, “এই ধরনের ম্যাচে রান তাড়া করার সময় প্রতি ওভার ধরে পরিকল্পনা করতে হয়। আমি জানতাম শেষে নাসিম বা শাহনওয়াজের মধ্যে এক জনকে বল করতে হবে। দু’জনেরই অভিজ্ঞতা কম। তা ছাড়া স্পিনারেরও এক ওভার বাকি ছিল। শেষ ওভারে সাত রান দরকার ছিল। যদি ১৫ রানও দরকার হত আমরা জিততাম। কারণ, শেষ ওভারে বোলারের উপরে চাপ বেশি থাকত।”
শেষ ওভারের প্রথম বলে জাডেজা আউট হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন হার্দিক। বাকি ইনিংসে ভাবলেশহীন দেখাচ্ছিল তাঁকে। শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে মাত্র এক রান হলেও চাপ নেননি ভারতীয় অলরাউন্ডার। তিনি জানতেন, একটি শটেই খেলা শেষ করতে পারবেন। হার্দিক বলেছেন, “আমি চাপ নিইনি। কারণ, ৩০ গজের মধ্যে পাঁচ জন ফিল্ডার ছিল। জানতাম, নওয়াজের একটা বল আমি ঠিক বাউন্ডারির বাইরে ফেলতে পারব। তাই ওর ভুলের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।”