ডার্বির আগে হাসি ফুটল লাল-হলুদে, নর্থ ইস্টকে হারিয়ে দিয়ে আইএসএলে প্রথম জয় ইস্টবেঙ্গলের

নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। এ বারের আইএসএলে লাল-হলুদের প্রথম জয়। গুয়াহাটির মাঠে ৩-১ গোলে জিতল ইস্টবেঙ্গল। শেষ মুহূর্তে গোল না খেলে জয়ের স্বাদ আরও একটু বেশি হত কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের জন্য।

ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল পায় ইস্টবেঙ্গল। নর্থইস্ট ডিফেন্ডারদের ভুলে বল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। নওরেম সিংহ সেই বল নিয়ে পাস বাড়ান ক্লেটন সিলভাকে। ঠান্ডা মাথায় নর্থ ইস্টের গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্যকে পরাস্ত করেন তিনি। অরিন্দমের দিকের গোলপোস্ট ঘেঁষেই বল জালে জড়িয়ে দেন সিলভা। হাসি ফোটে গুয়াহাটির স্টেডিয়ামে আসা লাল-হলুদ সমর্থকদের মুখে।

সেই গোল আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয় লাল-হলুদের। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকেন সিলভারা। বলের দখল নিতে থাকেন তাঁরা। আক্রমণে চাপ বাড়াতে থাকেন। নর্থ ইস্টের রক্ষণে ভয় ধরাতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধের শেষ দিকে যদিও আবার কিছুটা আক্রমণে ফেরে নর্থ ইস্ট। কিন্তু লাল-হলুদ গোলের নীচে কমলজিতের হাত ভরসা দেয় দলকে।

প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়েই সাজঘরে ফেরে ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে প্রথমে গোল করেন কারিস কিরিয়াকু। ৫২ মিনিটের মাথায় গোল করেন তিনি। দূর পাল্লার শটে তাঁর করা গোল মন ভরিয়ে দেয় সমর্থকদের। ভিপি সুহের পাস বাড়িয়েছিলেন কিরিয়াকুকে। দৌড়ে এসে জোরালো শটে জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। বাঁচানোর সুযোগই পেলেন না অরিন্দম।

জয়ের গন্ধ পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের রাশ ধীরে ধীরে নিজেদের হাতে নিতে থাকে তারা। ৮৪ মিনিটের মাথায় নর্থ ইস্টের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন জর্ডন ও’ডোহার্টি। তিনি গোল করতে আরও চওড়া হয় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের হাসি। ৯৩ মিনিটের মাথায় তাই ম্যাট ডার্বিশায়ার নর্থ ইস্টের হয়ে একটি গোল শোধ করলেও খুব একটা ক্ষতি হয়নি লাল-হলুদের।

৩ ম্যাচ খেলে এ বারের আইএসএলে প্রথম জয় পেল ইস্টবেঙ্গল লিগ টেবিলে সাত নম্বরে উঠে এল তারা। পরের ম্যাচ ২৯ অক্টোবর। সে দিন যুবভারতীতে এটিকে মোহনবাগানের মুখোমুখি হবে তারা। বাংলার ফুটবল সমর্থকরা আবার দু’ভাগ হয়ে যাবেন সে দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.