দর্শকশূন্য ন্যু ক্যাম্পে মরশুমের প্রথম এল ক্লাসিকোয় দুরন্ত জয় রিয়ালের

মরশুমের প্রথম এল ক্লাসিকো (El Clasico)। করোনা আবহে দর্শকশূন্য ন্যু ক্যাম্পেই খেলতে হল মেসি–র‌্যামোসদের। তবে তাঁর প্রভাব ম্যাচে পড়ল। লড়াই হল শেয়ানে–শেয়ানে। যদিও শেষপর্যন্ত ঘরের মাঠে হেরেই গেল বার্সেলোনা (Barcelona)। ৩–১ গোলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে হারাল রিয়াল মাদ্রিদ (Real Madrid)। রিয়ালের হয়ে গোল করেন ভালভারদে, র‌্যামোস এবং লুকা মড্রিচ। বার্সার হয়ে আনসু ফাতি একমাত্র গোলটি করেন। দল হারলেও এই গোলের সৌজন্য অনবদ্য রেকর্ডও গড়ে ফেলেন ফাতি। এই শতাব্দীর কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে এল ক্লাসিকোতে গোল করার নজির গড়লেন তিনি। ভাঙলেন রিয়াল ভিনিশিয়াস জুনিয়রের রেকর্ড।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) লা লিগা ছেড়ে চলে গিয়েছেন সিরি এ–তেঅন্যদিকে, এই মরশুমেই হয়তো শেষবার এল ক্লাসিকোতে মাঠে নামবেন লিওনেল মেসিও (Leo Messi)। ফলে জৌলুস কিছুটা কম মনে হলেও লড়াই কিন্তু হাড্ডাহাড্ডি হল। খেলার শুরু থেকেই আক্রমণ–প্রতি আক্রমণে খেলা জমে ওঠে। ম্যাচে প্রথম এগিয়ে যায় রিয়ালই। খেলার বয়স তখন মাত্র পাঁচ মিনিট। বার্সা রক্ষণে ভুলে গোল করে যান ভালভারদে। যদিও পাল্টা আক্রমণে তিন মিনিট পরেই গোল শোধ করে দেয় বার্সেলোনা। আলাবার পাস থেকে দুরন্ত গোল করেন আনসু ফাতি। তবে কারিগর ছিলেন সেই লিওনেল মেসি। এটি আবার এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার ৪০০ তম গোল। এরপর মেসির একটি শট দুরন্ত সেভ করেন রিয়াল গোলকিপার কুর্তোয়া। উল্টোদিকে আবার বেঞ্জিমার শট রুখে দেন বার্সা গোলকিপার নেটো। এরপর এভাবেই আক্রমণ–প্রতি আক্রমণে খেলা চলতে থাকে। তবে শেষপর্যন্ত ১–১ গোলেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

বিরতির পর অবশ্য খেলার রাশ কিছুটা চলে যায় জিদানের ছেলেদের কাছে। যার ফলস্বরূপ ৬৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে র‌্যামোসের গোল। রিয়ালের হয়ে বার্সার কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন লুকা মড্রিচ। ৯০ মিনিটে রিয়ালের হয়ে তৃতীয় তথা শেষ গোলটি করেন তিনি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.