জিততে হলে শেষ দিনে ২৫৪ রান প্রয়োজন বাংলার। হাতে রয়েছে ছ’উইকেট। ক্রিজে রয়েছেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন এবং অনুষ্টুপ মজুমদার। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বাংলা শিবির। দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৯৬/৪।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একের পর এক উইকেট নিয়ে বাংলাকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন বোলাররা। শাহবাজ নেন পাঁচ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্বিতীয় বার পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি। প্রদীপ্ত প্রামাণিক নিলেন চার উইকেট। বাংলার দুই স্পিনাররা চতুর্থ দিনের সকালে বাংলাকে লড়াইয়ের জায়গা তৈরি করে দেন। একাধিক ক্যাচ না ফেললে আরও আগেই মধ্যপ্রদেশকে শেষ করে দিতে পারত বাংলা। বেশ কিছু সহজ ক্যাচ ফেলেন বাংলার ক্রিকেটাররা। সিলি পয়েন্টে ক্যাচ ফেলেন অভিষেক রামন। শাহবাজ নিজের বলেই উইকেট পেতে পারতেন ক্যাচ নিয়ে, কিন্তু সেটাও ফেলে দেন তিনি।
এর মধ্যেই নিজের বলে ক্যাচ নেন শাহবাজ। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে যে ভাবে তিনি কুমার কার্তিকেয়র ক্যাচ ধরেন তা প্রশংসার যোগ্য। মধ্যপ্রদেশের হয়ে রজত পাটীদার করেন ৭৯ রান। অধিনায়ক আদিত্য শ্রীবাস্তব করেন ৮২ রান। প্রদীপ্তর বলে বোল্ড হন তিনি। শেষ উইকেটে গৌরব যাদব এবং অনুভব অগ্রবাল দ্রুত ২৪ রান যোগ করেন। শেষ বেলায় সেটাই বাংলার লক্ষ্য ৩৫০ রানে পৌঁছে দেয়।
সেই রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই কার্তিকেয় ফিরিয়ে দেন অভিষেক রামনকে। তিনি ফিরতেই আশঙ্কা তৈরি হয় বাংলা শিবিরে। প্রথম ইনিংসের ছায়া দেখতে শুরু করে তারা। ১৯ রান করে ফেরেন সুদীপ ঘরামি। চার নম্বরে নামানো হয় অভিষেক পোড়েলকে। তিনি মাত্র সাত রান করেন। প্রথম ইনিংসে শতরান করা মনোজ তিওয়ারিও সাত রানে আউট। চারটি উইকেটের মধ্যে তিনটিই নিয়েছেন কার্তিকেয়। তাঁর স্পিনের দাপটেই কুপোকাত বাংলা। শেষ দিনে বড় পরীক্ষা বাংলার ব্যাটিং বিভাগের। আম্পায়ারের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। রিভিউ না থাকায় দুই দলের ক্ষেত্রে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।