পরের মাসেই রয়েছে এশিয়া কাপ। তবে সেই প্রতিযোগিতায় খেলার সম্ভাবনা নেই কেএল রাহুলের। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সারিয়ে এখনও ফিট হতে সময় লাগবে তাঁর। অন্য দিকে, এশিয়া কাপ তো দূর, বিশ্বকাপেও হয়তো খেলতে পারবেন না শ্রেয়স আয়ার। দুই ক্রিকেটারকে নিয়েই জল্পনা তৈরি হয়েছে।
ঊরুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে রাহুলের। অন্য দিকে, স্ট্রেস ফ্র্যাকচার সারাতে পিঠে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে শ্রেয়সের। বোর্ডের শেষ মেডিক্যাল বিবৃতিতে এই দুই ক্রিকেটারের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তন নিয়ে কিছুই লেখা হয়নি। কিন্তু দু’জনেরই যে ফেরার সম্ভাবনা কম, তা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন বোর্ডের এক সূত্র।
তিনি বলেছেন, “৫০ ওভারের ক্রিকেটের জন্যে রাহুল এবং শ্রেয়স দু’জনেরই ম্যাচ ফিট হওয়া মুশকিল। তা-ও আবার শ্রীলঙ্কার মতো গরমের দেশে। তবে বোর্ডের চিকিৎসক দল চেষ্টা করছেন যাতে বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ে রাহুলকে সুস্থ করে খেলানো যায়।”
তাঁর সংযোজন, “শ্রেয়স ইতিমধ্যেই অনুশীলন শুরু করেছে। যদি বোর্ড মনে করে ১০০ শতাংশ ফিট শ্রেয়সকে নামাবে, তা হলে বিশ্বকাপ এ বারের মতো ওর কাছে হাতছাড়াই হতে পারে। টি-টোয়েন্টি হলে ওর কাছে ফিরে আসা সহজ হত। কিন্তু ৫০ ওভারের ক্রিকেটে সেটা সম্ভব নয়। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়।”
রাহুল ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটকিপিংয়ের প্রস্তুতিও শুরু করেছেন। কিন্তু হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সবে সারার পরেই ৫০ ওভার কিপ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া, পরের মাসের শুরুতেই রয়েছে এশিয়া কাপ। ফলে হাতে সময়ও নেই। রাহুলকে নিয়ে বোর্ড আরও বেশি চিন্তিত, কারণ পাঁচ নম্বরে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার। মাঝের ওভারগুলিতে তাঁকে দরকার ভারতের। আপাতত বোর্ডের লক্ষ্য দু’জনের মধ্যে অন্তত এক জনকে বিশ্বকাপের আগে ফিট করে তোলা।