বিশ্বকাপের সময় কাতারের দখল নিতে পারে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। কোনও সামরিক অভিযান নয়। লিয়োনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবেন পাক জওয়ানরা।
ফুটবল বিশ্বকাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না কাতার প্রশাসন। কিন্তু বিশ্বকাপের মতো ক্রীড়া অনুষ্ঠানের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী নেই তাদের। সমস্যা মেটাতে পাকিস্তানের কাছে সাহায্যের অনুরোধ করেছিল কাতার। পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা সেই অনুরোধ অনুমোদন করেছে। মন্ত্রিসভার সম্মতির কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী মরিয়ম ঔরঙ্গজেব।
কাতার বিশ্বকাপ হবে আগামী ২০ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর। বিশ্বকাপের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে পাক সেনার সাহায্য চেয়ে আগেই অনুরোধ করেছিল দোহা। ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে এত দিন বিষয়টি নিয়ে কিছু বলা হয়নি। মঙ্গলবার দু’দিনের দোহা সফরে পৌঁছেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তার আগেই কাতার প্রশাসনের অনুরোধে সাড়া দিল পাকিস্তান। দু’দেশের সুম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে কাতারের নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবেন পাক সেনা জওয়ানরা।
বিশ্বকাপের নিরাপত্তা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে কোনও সমঝোতাপত্র সই হয়েছে কি না, তা জানানো হয়নি। বিশ্বকাপের সময় দোহায় কত জন জওয়ান পাঠানো হবে, জানায়নি ইসলামাবাদ। পাক জওয়ানরা কী কী দায়িত্ব সামলাবেন বা বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত জওয়ানদের পাঠানো হবে কি না, তাও জানানো হয়নি। নিরাপত্তা সংক্রান্ত পাক সম্মতির কথা সরকারি ভাবে জানানো হয়নি কাতার প্রশাসনের পক্ষেও। বিশ্বকাপের আয়োজকরাও কিছু জানাননি।
পাক সরকারের তরফে বিবৃতিতে শুধু বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর সফর পাকিস্তান-কাতার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করবে এবং এগিয়ে নিয়ে যাবে। শক্তি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ নিয়ে দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনা হবে।’ শরিফের সফরসূচিতে বিশ্বকাপের মূল স্টেডিয়াম পরিদর্শনের উল্লেখ রয়েছে।