মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের গ্যালারিতে ছিল পুলিশ ছিল সাদা পোশাকে। বিশেষ করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ডাগ আউটের পিছনে। সোমবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে মুম্বই খেলতে নামার সময় ওয়াংখেড়ে জুড়ে রোহিত শর্মার জন্য জয়ধ্বনি উঠল। হার্দিক পাণ্ড্যকে ব্যঙ্গ করা হল। এই ঘটনা যাতে বড় আকার না নেয়, সেই কারণেই সাদা পোশাকে পুলিশ রাখা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার টসের সময় থেকেই হার্দিককে নিয়ে ব্যঙ্গ শুরু হয়ে যায়। দুই অধিনায়ক টস করতে নেমেছিলেন। সেই সময় হার্দিকের উদ্দেশে ব্যঙ্গাত্মক শব্দ করে ওয়াংখেড়ের দর্শক। রোহিতের উদ্দেশে সেই দর্শককেই বলতে শোনা যায়, “মুম্বইয়ের রাজা কে? রোহিত শর্মা আবার কে?” মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা বলেন, “মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ডাগ আউটের পিছনে গ্যালারিতে সাদা পোশাকে পুলিশ ছিল। দর্শকদের মধ্যে মিশে গিয়েছিল তারা। এই আইপিএল ম্যাচের জন্য ৩০০০ পুলিশ ছিল গ্যালারিতে।”
টসের সময় হার্দিকের নাম নিয়েছিলেন ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মঞ্জরেকর। কিন্তু হার্দিকের নাম শোনার পরেই দর্শক ব্যঙ্গাত্মক শব্দ করে। সেই আওয়াজ এতটাই তীব্র ছিল যে, মঞ্জরেকরকে বাধ্য হয়ে দর্শকদের ভদ্র ব্যবহার করতে বলতে হয়।
মুম্বইয়ের দিনটা ভাল ছিল না। ট্রেন্ট বোল্টের দাপটে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে শুরু করে মুম্বই। চতুর্থ ওভারের মধ্যেই ২০ রানে ৪ উইকেট চলে যায় মুম্বইয়ের। সেই সময় হার্দিক নামেন ব্যাট করতে। কোনও আওয়াজ শোনা যায়নি গ্যালারিতে। স্টেডিয়ামের ঘোষক যখন ‘গণপতি বাপ্পা মোরিয়া’ বলে চিৎকার করেন, তখন গ্যালারিও চিৎকার করে ওঠে। কিন্তু হার্দিকের জন্য আলাদা করে কোনও চিৎকার শোনা যায়নি।
ওয়াংখেড়ে ছাড়াও আমদাবাদে হার্দিককে ব্যঙ্গ করা হয়েছিল। হার্দিক এর আগে গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়ক ছিলেন। সেই দলের হয়ে দু’বার আইপিএলের ফাইনাল খেলেছেন। এক বার জিতেছেন। কিন্তু এ বার তিনি মুম্বই দলে যোগ দেন। এবং তাঁকে অধিনায়কও করে দেওয়া হয়। পাঁচ বারের আইপিএলজয়ী অধিনায়ক রোহিতকে সরিয়ে হার্দিককে অধিনায়ক করে দেওয়া মানতে পারছেন না সমর্থকদের একাংশ। মাঠে তার বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে।