অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দুরন্ত ফর্ম দেখিয়েছিলেন। স্টার্ক, কামিন্সদের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছিলেন। ব্রিসবেনে টিম ইন্ডিয়ার (Team India) ঐতিহাসিক জয়ের অন্যতম কাণ্ডারীও ছিলেন তিনি। দেশের মাটিতেও দুরন্ত ফর্মে ঋষভ পন্থ। চতুর্থ টেস্টে দুরন্ত শতরান করলেন তিনি। পাশাপাশি ভাল ব্যাটিং করলেন রোহিত শর্মা, ওয়াশিংটন সুন্দররাও। তবে এদিনও ব্যর্থ হলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। স্টোকসের বলে শূন্য রানেই আউট হলেন তিনি। দিনের শেষে ভারতের রান সাত উইকেটে ২৯৪ রান। ক্রিজে রয়েছেন সুন্দর (৬০) এবং অক্ষর প্যাটেল (১১)। ভারত এগিয়ে ৮৯ রানে।
এদিন এক উইকেটে ২৪ রান থেকে খেলা শুরু করলেও শুরুতেই পূজারার উইকেট হারায় ভারত। ১৭ রানে আউট হন তিনি। এরপর কোনও রান না করেই ফিরে যান বিরাটও। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম কোনও সিরিজে দু’বার শূন্য রানে আউট হলেন তিনি। ওই সিরিজে অ্যান্ডারসন এবং প্ল্যাঙ্কেটের বলে আউট হয়েছিলেন। আর এই সিরিজে প্রথমে মইন আলি ও বেন স্টোকসের শিকার হলেন কোহলি। এই নিয়ে টেস্ট ম্যাচে পাঁচবার তাঁকে আউট করলেন স্টোকস। এর পাশাপাশি টেস্টে ভারত অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার ধোনির রেকর্ড (৮ বার) ছুঁলেন কোহলি। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভারত অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রেকর্ডও (১১ বার) ছুঁলেন।
কোহলি আউট হতেই অবশ্য ইনিংসের হাল ধরেন রোহিত এবং আজিঙ্ক রাহানে। তবে রাহানে আউট হয়ে যান ২৭ রানে। কিছুপরেই আবার রোহিতও ফিরে যান। মাঠেই ফেলে আসেন অর্ধ-শতরান। আউট হন ৪৯ রানে। অশ্বিনের সংগ্রহও মাত্র ১৩ রান। কিন্তু সবাই যখন দ্রুত ফিরছেন, তখন একাই কুম্ভ হয়ে ওঠেন ঋষভ পন্থ। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন ওয়াশিংটন সুন্দর। দু’জনে মিলে জুটিতে ১১৩ রান যোগ করেন। তবে শেষপর্যন্ত ১১৮ বলে ১০১ রান করে আউট হয়ে যান ঋষভ। তাঁর ইনিংসে সাজানো ছিল ১৩টি চার ও দু’টি ছক্কা। তবে পন্থ আউট হলেও দিনের শেষে ৬০ রানে অপরাজিত রয়েছেন সুন্দর। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন অক্ষর। স্কোরবোর্ডে ভারতের রান সাত উইকেটে ২৯৪। এর আগে প্রথম দিনই স্পিনারদের দাপটে ২০৫ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। ফলে বিরাটরা এগিয়ে ৮৯ রানে।