৪ মার্চ থাইল্যান্ডে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্ন (Shane Warne)। মাত্র ৫২ বছর বয়সে ওয়ার্নের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে গোটা ক্রিকেট বিশ্বে। ওয়ার্ন যে নেই এখনও তা বিশ্বাস করতে পারছেন না অনেকেই। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড থেকে মেলবোর্নে (Melbourne) নিয়ে আসা হয়েছে শেন ওয়ার্নের মৃতদেহ।
৩০ মার্চ মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ার্নের শেষকৃত্য। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। কিংবদন্তি স্পিনারকে শেষ বারের মতো দেখার ব্যবস্থা করে দেবে সরকার। আশা করা হচ্ছে এমসিজিতে (MCG) ওয়ার্নের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে পারেন এক লাখেরও বেশি মানুষ।
ওয়ার্নের মৃত্যুর প্রায় এক সপ্তাহ পর চাটার্ড ফ্লাইটে ব্যাংকক থেকে মেলবোর্নে নিয়ে আসা হয়েছে তাঁর মরদেহ। ময়নাতদন্তের জন্য থাইল্যান্ডের সুরাত থানি থেকে ব্যাংককে পাঠানো হয়েছিল ওয়ার্নের মৃতদেহ। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর, এমনটাও নিশ্চিত করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। তবে অস্ট্রেলিয়া সরকার সূত্রে খবর, পুনরায় একবার ময়নাতদন্ত করা হতে পারে মেলবোর্নে।
ওয়ার্নের মৃত্যুর পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও শোকস্তব্ধ গোটা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নাররা যেমন এখনও এই খবরের সঙ্গে মানিয়ে উঠতে পারেননি। গোটা অস্ট্রেলিয়া দল এখন পাকিস্তানের মাটিতে। সেখানেও শোকের ছায়া। ওয়ার্নার বলেন, ‘‘এই খবরটা এখনও সত্যি বলে মনে হচ্ছে না। আমরা এখনও মানিয়ে নিতে পারছি না। এমসিজি-তে যে শেষকৃত্য হবে তা সবার জন্যই খুবই বেদনাদায়ক হতে চলেছে।’’
এমসিজিতে প্রচুর সুখস্মৃতি রয়েছে প্রয়াত লেগস্পিন জাদুকরের। ’৯৪-এর অ্যাসেজে ওয়ার্নের বিখ্যাত হ্যাটট্রিক এ মাঠে। ২০০৬ সালে ঐতিহাসিক সাতশো উইকেটের মহাকীর্তিও স্পর্শ এমসিজিতেই। ভিক্টোরিয়ার স্টেট প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ এ দিন টুইট করে বলে দিলেন, ‘ওয়ার্নিকে শেষ বিদায় জানাতে এমসিজির চেয়ে ভাল মঞ্চ আর গোটা বিশ্বে নেই।’ তবে তার আগে ওয়ার্নের পরিবারের পক্ষ থেকে একটা শেষকৃত্য অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। যা থাকবে একান্ত ব্যক্তিগত। তার পর এমসিজিতে রাজকীয় ভাবে শেষ বিদায়।