টোকিও অলিম্পিক্সের অ্যাথলেটিক্সে ভারতের অন্যতম পদক সম্ভাবনা জ্যাভেলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া। এই প্রথমবার তিনি অলিম্পিক্সের আসরে ভারতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন। কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডের পারকফর্ম্যান্স দিয়ে দেশবাসীর প্রত্যাশা কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। শেষমেশ ফাইনালেও বাজিমাত করেন ভারতের তারকা জ্যাভেলেন থ্রোয়ার। ফাইনালে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ৮৭.৫৮ মিটার ছুঁডে় সোনার পদক দখল করেন নীরজ।
যোগ্যতা অর্জন পর্বে এক নম্বরে থেকে ফাইানালের টিকিট নিশ্চত করেছিলেন নীরজ। উল্লেখ্য, নীরজের ব্যক্তিগত সেরা পারফর্ম্যান্স ৮৮.০৭ মিটার। কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে নীরজ প্রথম প্রচেষ্টাতেই ৮৬.৬৫ মিটার জ্যাভেলিন ছুঁড়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছিলেন।
ফাইনালের গতিবিধি:-
প্রথম রাউন্ড: প্রথম প্রচেষ্টায় ৮৭.০৩ মিটার দূরত্বে জ্যাভেলিন ছোঁড়েন নীরজ, যা তাঁর কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডের পারফর্ম্যান্সের থেকেও অনেক ভালো। প্রথম প্রচেষ্টায় নীরজ চোপড়া থাকেন এক নম্বরে। জার্মানির জুলিয়ান ওয়েবার ছিলেন দ্বিতীয় স্থানে। তিনি ৮৫.৩০ মিটার থ্রো করেন। এটি তাঁর মরশুমের সেরা পারফর্ম্যান্স। তৃতীয় স্থানে ছিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের জাকুব ভাদলেজচ। তিনি ৮৩.৯৮ মিটার ছোঁড়েন। পাকিস্তানের আর্শাদ নদিম ৮২.৪০ মিটার ছোঁড়েন।
১. নীরজ চোপড়া- ৮৭.০৩ মিটার
২. জুলিয়ান ওয়েবার- ৮৫.৩০ মিটার
৩. জাকুব ভাদলেজচ- ৮৩.৯৮ মিটার
দ্বিতীয় রাউন্ড: দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় নীরজ ছোঁড়েন ৮৭.৫৮ মিটার। দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষেও এক নম্বরে থাকেন নীরজ। প্রথম তিনে কোনও বদল হয়নি। জুলিয়ান এবং জকুব নিজেদের পারফর্ম্যান্সে উন্নতি করতে পারেননি। আর্শাদ ফাউল থ্রো করেন।
১. নীরজ চোপড়া- ৮৭.৫৮ মিটার
২. জুলিয়ান ওয়েবার- ৮৫.৩০ মিটার
৩. জাকুব ভাদলেজচ- ৮৩.৯৮ মিটার
তৃতীয় রাউন্ড: তৃতীয় প্রচেষ্টায় ৭৬.৭৯ মিটার ছোঁড়েন নীরজ, যা প্রথম দু’টি প্রচেষ্টার থেকে অনেক কম। যদিও দ্বিতীয় রাউন্ডের ৮৭.৫৮ মিটারই তাঁর সেরা প্রচেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। অর্ধেক ইভেন্ট শেষ। তিন রাউন্ডের শেষে নীরজই ছিলেন এক নম্বরে। চেক প্রজাতন্ত্রের ভিতেজস্লাভ ভেসেলি ৮৫.৪৪ মিটার ছুঁড়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন। এটি তাঁর মরশুমের সেরা পারফর্ম্যান্স। তিন নম্বরে নেমে যান জুলিয়ান। পাকিস্তানের আর্শাদ ৮৪.৬২ মিটার ছুঁড়ে চার নম্বরে উঠে আসেন।
১. নীরজ চোপড়া- ৮৭.৫৮ মিটার
২. ভিতেজস্লাভ ভেসেলি- ৮৫.৪৪ মিটার
৩. জুলিয়ান ওয়েবার- ৮৫.৩০ মিটার
নিয়ম মতো তৃতীয় রাউন্ডের শেষে লড়াই থেকে ছিটকে যান শেষ চারজন অ্যাথলিট। শেষ তিন রাউন্ডের লড়াইয়ে থাকেন বাকি ৮ জন।
চতুর্থ রাউন্ড: চতু্র্থ প্রচেষ্টায় ফাউল থ্রো করেন নীরজ। যদিও এক নম্বরে থেকে যেতে অসুবিধা হয়নি তাঁর। বাকিরা কেউ নিজেদের পারফর্ম্যান্সে উন্নতি করতে পারেননি।
১. নীরজ চোপড়া- ৮৭.৫৮ মিটার
২. ভিতেজস্লাভ ভেসেলি- ৮৫.৪৪ মিটার
৩. জুলিয়ান ওয়েবার- ৮৫.৩০ মিটার
পঞ্চম রাউন্ড: পঞ্চম প্রচেষ্টায় ফাউল থ্রো করেন নীরজ। তার পরেও তিনি এক নম্বরে টিকে থাকেন। ভারত তখনই সোনা জয়ের গন্ধ পায় অলিম্পিক্সে। জাকুব ভাদলেজচ ৮৬.৬৭ মিটার ছুঁড়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন। এটি তাঁর মরশুমের সেরা পারফর্ম্যান্স। তিন নম্বরে পিছিয়ে যান ভেসেলি।
১. নীরজ চোপড়া- ৮৭.৫৮ মিটার
২. জাকুব ভাদলেজচ- ৮৬.৬৭ মিটার
৩. ভিতেজস্লাভ ভেসেলি- ৮৫.৪৪ মিটার
ষষ্ঠ রাউন্ড: ষষ্ঠ তথা শেষ প্রচেষ্টায় ৮৪.২৪ মিটার ছোঁড়েন নীরজ। তবে বাকি কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নীরজকে টপকাতে না পারায় তাঁর সোনা জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। চেক প্রজাতন্ত্রের জাকুব জেতেন রুপোর পদক। চেক প্রজাতন্ত্রেরই ভেসেলির গলায় ওঠে ব্রোঞ্জ মেডেল।
সোনা: নীরজ চোপড়া- ৮৭.৫৮ মিটার
রুপো: জাকুব ভাদলেজচ- ৮৬.৬৭ মিটার
ব্রোঞ্জ: ভিতেজস্লাভ ভেসেলি- ৮৫.৪৪ মিটার