‘নাথিং ইজ ইম্পসিবল’, ১২ বারের চেষ্টায় চিনের মিয়াওকে হারিয়ে বললেন ভাবিনা

টানা ১১ বার হেরেছিলেন। সেই পরিসংখ্যানে দমে যাননি। বরং নিজের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চিনের মিয়াও জাংকে হারিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় টিটি খেলোয়াড় ভাবিনা প্যাটেল। উঠেছেন প্যারালিম্পিক্সের ফাইনালে। আর সেই দুর্দান্ত জয়ের পর ভাবিনা বলেন, ‘আমি প্রমাণ করেছি যে কোনও কিছু অসম্ভব নয়।

শনিবার টোকিও প্যারালিপিক্সে মহিলা সিঙ্গলসের সেমিফাইনালে প্রথম গেমে হেরে গিয়েছিলেন ভাবিনা। প্রথম গেম ৭-১১ ব্যবধানে হেরে যান। তারপর দুরন্তভাবে ফিরে আসেন। দ্বিতীয় গেম জিতে যান ১১-৭ ব্যবধানে। পরের গেম ১১-৪ ব্যবধানে জিতে যান ৩৪ বছরের ভারতীয় প্যাডলার। যদিও হাল ছাড়েননি বিশ্বের তিন নম্বর মিয়াও। ১১-৯ ব্যবধানে চতুর্থ গেম জেতেন চিনা প্যাডলার। পঞ্চম গেমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। তবে শেষ হাসি হাসেন ভাবিনা। ১১-৮ ব্যবধানে পঞ্চম গেম জিতে প্যারালিম্পিক্সের ফাইনালে পৌঁছে যান ভাবিনা। সঙ্গে তৈরি করে ফেলেন ইতিহাস। প্রথম ভারতীয় হিসেবে টেবিল টেনিসে পদক নিশ্চিত করেছেন তিনি। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

সেই ঐতিহাসিক জয়ের পর ভাবিনা বলেন, ‘এটা বড়সড় কীর্তি। প্রত্যেকে বলেন যে চিনকে হারানো কঠিন। আজ আমি প্রমাণ করেছি যে কোনও কিছু অসম্ভব নয় (নাথিং ইজ ইম্পসিবল)। আগামিকাল (রবিবার) ফাইনাল ম্যাচের জন্য সব ভারতীয়রা যেমন আমায় আশীর্বাদ দেন। যাতে আমি ভালো খেলতে পারি।’ সেইসঙ্গে ভাবিনা বলেন, ‘আমি নিজেকে কখনও বিশেষভাবে সক্ষম ভাবিনি।’

মেয়ের কৃতিত্বে আনন্দে ভাসছেন ভাবিনার পরিবার। সংবাদসংস্থা এএনআইকে ভাবিনার বাবা হাসমুখভাই বলেন, ‘আজ আমি অত্যন্ত খুশি। ভাবিনা নিশ্চয়ই সোনা জিতবে। গত ২০ বছর ধরে ও টেবিল টেনিস খেলছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.