সব ঠিকঠাক হয়েই গিয়েছিল। সরকারি ঘোষণাটা ছিল কেবলই সময়ের অপেক্ষা। এবার নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের কভার ছবি বদলে ফেলেই আইএসএল বুঝিয়ে দিল আসন্ন মরশুমে ১০ দলেই হবে লিগ। অর্থাৎ এবছর ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল (ISL) খেলার ক্ষীণতম আশার উপর জলই ঢেলে দিল কর্তৃপক্ষ।
‘সংবাদ প্রতিদিন’ আগেই জানিয়েছিল, শীঘ্রই আইএসএলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হবে যে এবার লিগে দশটি দলই খেলবে। সেই খবরকেই সত্যি করে মঙ্গলবার ১০টি দলের লোগো দিয়ে ছবি পোস্ট করল কর্তৃপক্ষ। যেখানে বাঁ-দিকে একেবারে শুরুতে জ্বলজ্বল করছে এটিকে-মোহনবাগান। তিনবারের চ্যাম্পিয়ন দল এটিকে। মোহনবাগানের সঙ্গ গাঁটছড়া বেঁধে নতুন পথচলা শুরু তাদের। তারপরই রয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি। বাকি আটটি দল হল চেন্নাইয়িন এফসি, এফসি গোয়া, হায়দরাবাদ এফসি, জামশেদপুর এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি, মুম্বই সিটি এফসি, নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি এবং ওড়িশা এফসি। এমনকী আইএসএলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও স্থান পেয়েছে এই দশটি দলই। আর এতেই স্পষ্ট হয়ে গেল যে এবারের মতো ইস্টবেঙ্গলের (East Bengl) আইএসএল খেলার সমস্ত দরজা বন্ধ।
উল্লেখ্য, এটিকের সঙ্গে মোহনবাগান গাঁটছড়া বাঁধতেই আইএসএলে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে আদা-জল খেয়ে আসরে নেমেছিল পড়শি ক্লাব। কোয়েসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরই নতুন ইনভেস্টর এনে তড়িঘড়ি দেশের সেরা লিগের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। প্রিয় ক্লাবের ইনভেস্টর হওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন জাকার্তায় থাকা বাঙালি শিল্পপতি প্রসূন মুখোপাধ্যায়। কিন্তু দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তির শর্ত নিয়ে মতের অমিল থাকায় কিছুই চূড়ান্ত হয়ে ওঠেনি। এমন পরিস্থিতিতে ফুটবল প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার (FPAI) জেনারেল ম্যানেজার হঠাৎই এফএসডিএলকে (FSDL) কপি করে ফেডারেশন (AIFF) সচিব কুশল দাসকে চিঠি পাঠিয়ে বসেন। যেখানে লেখা, ক্লাবের ইতিহাস এবং বিশাল সংখ্যক সমর্থকদের কথা ভেবে ইস্টবেঙ্গলকে যেন ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (ISL) অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তা নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। কিন্তু কোনও কিছুতেই লাভ হয়নি। তা সত্ত্বেও সমর্থকদের মনে আশা জিইয়ে ছিল, নিশ্চয়ই এ বছর ওই লিগে খেলার ব্যবস্থা করবেন ক্লাব কর্তারা। তবে সে গুড়ে বালি। অর্থাৎ আইএসএলে এবার ডার্বি আর দেখা হচ্ছে না ফুটবলপ্রেমীদের।
এদিকে, সোমবারই নিজেদের তৃতীয় জার্সির ডিজাইন জমা দিয়েছে দশটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। আর মঙ্গলবার গোয়া পৌঁছল FSDL-এর ৯ সদস্যের একটি দল। যে পাঁচ ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজনের কথা ভাবা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখবে তারা। করোনা আবহে যে এবার একটি শহরেই আইএসএল হবে, তা সরকারিভাবে চলতি সপ্তাহেই ঘোষণা করা হতে পারে।