আরিয়ান মামলার তদন্তকারী অফিসারের পদ থেকে ‘অপসারিত’ সমীর ওয়াংখেড়ে। এই খবরে শিলমোহর পড়বার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ফের নতুন টুইস্ট এই মাদক মামলায়। শুক্রবার রাতে এনসিবির তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়, আরিয়ান খান-সহ মোট ৬টি মাদক মামলা এনসিবির মুম্বই ব্রাঞ্চের থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দিল্লি ইউনিটে। দিল্লির এক বিশেষ তদন্তকারী দলের হাতে আরিয়ান খান এবং অপর পাঁচটি মামলার দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয়। এর মাঝেই আরিয়ান মামলার নতুন তদন্তকারী অফিসার সঞ্জয় কুমার সিং-এর মন্তব্যে চাঞ্চল্য। এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, আরিয়ান মামলার তদন্তে অবশ্যই যুক্ত থাকবেন সমীর ওয়াংখেড়ে, তিনি মুম্বই জোন ইউনিটের ডিরেক্টর এবং দিল্লির টিম অবশ্য তাঁর পরামর্শ নেবে এই মামলায়।
মামলার হস্তান্তর করবার এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরিভাবে সাংগঠনিক, তবে আরিয়ান মামলায় সমীর ওয়াংখেড়ের নামের সঙ্গে ‘তোলাবাজি’র অভিযোগ জড়িয়ে যাওয়ায় পর এনসিবির এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই বাঁকা চোখে দেখছেন। শুধু তোলাবাজিই নয়, সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে জাল কাস্ট সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন নবাব মালিক। এমনকি ইসলাম ধর্ম মেনে করা ওয়াংখেড়ের প্রথম বিয়ে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, মামলা হস্তান্তরের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কারণ এই মামলাগুলির সঙ্গে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রভাব জড়িয়ে রয়েছে। কোনও অফিসারকে তাঁদের পদ থেকে সরানো হয়নি, তাঁরা নিজেদের দায়িত্ব পালনে অবিচল থাকবেন’।
দিল্লি ইউনিটের হাতে মামলার তদন্তভার যাওয়া প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে ওয়াংখেড়ে জানিয়েছেন, ‘আমাকে অপসারিত করা হয়নি তদন্তকারী দল থেকে। আমি তো আদালতেই রিট পিটিশনে জানিয়েইছিলাম যে এই তদন্তভার কেন্দ্রীয় টিমের হাতে তুলে দেওয়া হোক। এবার থেকে আরিয়ান খান কেস এবং সমীর খান কেস দিল্লি এনসিবি-র বিশেষ দলের দায়িত্বে থাকবে। এটা এনসিবির দিল্লি ও মুম্বই টিমের মধ্যেকার সমঝোতা’।