অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর দু’বার চ্যাম্পিয়ন করেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (KKR)। তাঁর জুতোয় পা গলিয়ে কিং খানের দলের দায়িত্ব সামলানোর চ্যালেঞ্জটা তাই বেশ কঠিন। একথা দীনেশ কার্তিকও ভাল বোঝেন। আর নেতা হিসেবে গত মরশুমে সেভাবে নজরও কাড়তে পারেননি তিনি। প্লে-অফে পৌঁছতে পারেনি নাইটরা। তাই এই মরশুমেও যদি নিজেকে প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে নাইট শিবিরে (KKR) রাতারাতি অধিনায়ক বদল হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সুনীল গাভাসকরের কথায় অন্তত তেমন ইঙ্গিতই মিলল।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত মার্চে শুরু হতে চলা আইপিএল (IPL 2020) অবশেষে সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছে। তাও আবার আমিরশাহীর দর্শকশূন্য মাঠে। তবে কেকেআর এখনও মাঠে নামেনি। ২৩ সেপ্টেম্বর তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ মুম্বই। অর্থাৎ শুরুতেই শক্ত গাঁট। সেই অগ্নিপরীক্ষার পাশাপাশি দলকে চ্যাম্পিয়ন করার চাপও সর্বদা থাকবে কার্তিকের উপর। এমন পরিস্থিতিতে তিনি যদি নিজেকে মেলে ধরতে না পারেন, সেক্ষেত্রে বল চলে যেতেই পারে ইয়ন মর্গ্যানের কোর্টে। এমনটাই মত কিংবদন্তি গাভাসকরের।
একটি সাক্ষাৎকারে গাভাসকর বলেন, “কলকাতার দারুণ আগ্রাসী একটা ব্যাটিং লাইন আপ রয়েছে। আর তাতে ইয়ন মর্গ্যান যুক্ত হওয়ায় মিডল অর্ডারও আরও শক্তিশালী আর অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছে। যে কোনও মুহূর্তে বিপক্ষের সামনে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে মর্গ্যান। আবার যদি দেখা যায় প্রথম চার-পাঁচটা ম্যাচে কেকেআর তেমন ভাল পারফর্ম করতে পারল না, তখন কার্তিকের বদলে মর্গ্যানকেও অধিনায়ক হিসেবে আনা যেতে পারে।”
উল্লেখ্য, গত মরশুমে এমনই ঘটনা ঘটেছিল অজিঙ্ক রাহানের সঙ্গে। রাজস্থান রয়্যালের নেতৃত্ব কাঁধে নিয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থ হওয়ায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরিবর্তে আসেন স্টিভ স্মিথ। এবার কলকাতায় সেই ছবি দেখা যেতেও পারে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে ভারতীয় উইকেটকিপারের দক্ষতার উপর। এবার দেখার, ব্যাটসম্যান ও নেতা হিসেবে কার্তিক (Dinesh Karthik) দলকে সাফল্য উপহার দিতে পারেন কি না।