ঠিক যেন উলট পুরাণ। এতদিন আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে একতরফা দাপট দেখা যেত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। এবার আইপিএল ২০২১-এর ফিরতি লেগে ছবিটা বদলে দেয় কলকাতা। রোহিত শর্মাদের কার্যত বিধ্বস্ত করে লিগ টেবিলের প্রথম চারে ঢুকে পড়ে কেকেআর।
সৌজন্যে, দুই ভারতীয় ব্যাটসম্যান বেঙ্কটেশ আইয়ার ও রাহুল ত্রিপাঠীর ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি। অবশ্য কৃতিত্ব দিতে হয় বরুণ, নারিন, ফার্গুসনদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংকেও।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
আবু ধাবিতে টস জিতে মুম্বইকে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান নাইট অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। মুম্বই পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৫৬ রান তুলে ফেলে। সেখান থেকে রোহিতদের ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৫ রানে আটকে রাখার জন্য নিঃসন্দেহে কৃতিত্ব প্রাপ্য কলকাতার বোলারদের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে কলকাতা আগ্রাসী মেজাজে ইনিংস শুরু করে। তবে গিল খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। কেরিয়ারের দ্বিতীয় আইপিএল ম্যাচ খেলতে নামা বেঙ্কটেশ আইয়ার ও নির্ভরযোগ্য রাহুল ত্রিপাঠীর জোড়া হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে কেকেআর ২৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায়। ১৫.১ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৯ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে কলকাতা।
গিল ৯ বলে ১৩ রান করে আউট হন। বেঙ্কটেশ ৩০ বলে ৫৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ২৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন আইয়ার। রাহুল ত্রিপাঠী ৮টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪২ বলে ৭৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। মর্গ্যান ৭ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন রানা। কলকাতার ৩টি উইকেটই নিয়েছেন বুমরাহ।
তার আগে মুম্বইয়ের হয়ে ডি’কক ৫৫, রোহিত ৩৩, পোলার্ড ২১, ইশান ১৪ ও ক্রুণাল ১২ রান করেন। ২টি করে উইকেট নেন ফার্গুসন ও প্রসিধ কৃষ্ণা। ১টি উইকেট নারিনের। বরুণ কোনও উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচ করেন।
এই জয়ের সুবাদে রাজস্থান ও মুম্বইকে টপকে লিগ টেবিলের চার নম্বরে উঠে আসে কলকাতা।