রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) লা লিগা থেকে বিদায় নিয়েছেন। সুয়ারেজের সেরা সময় অতিক্রান্ত। গ্রিজম্যান, হ্যাজার্ডরাও ফর্মে নেই। মেসিকে চ্যালেঞ্জ করার তেমন কেউ নেই। স্পেনে তাই কার্যত ফাঁকা মাঠে গোল দিচ্ছেন মেসি। সোমবারই তিনি কেরিয়ারে সপ্তম ‘পিচ্চি’ পুরস্কার হাতে পেয়েছেন। যা কিনা লা লিগার ইতিহাসে সর্বোচ্চ। গত মরশুমে ৩৩ ম্যাচে ২৫ গোল করেছিলেন মেসি। সেই সুবাদেই লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাব জুটেছে বার্সেলোনার (Barcelona) অধিনায়কের। ‘পিচ্চি’ জয়ের একদিন পরই আবার ফুটবল সম্রাট পেলেকে টপকে বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেলেছেন মেসি। দু’দিনের ব্যবধানে জোড়া রেকর্ড ভেঙে স্বভাবতই আপ্লুত বার্সার রাজপুত্র। নিজের এবং বার্সা সমর্থকদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ বার্তাও দিয়েছেন লিও।
শনিবার রাতে ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধে নিজের বার্সেলোনা কেরিয়ারের ৬৪৩তম গোলটি করেন মেসি। এই একই সংখ্যক গোল ফুটবল সম্রাট পেলে (Pele) করেছিলেন ব্রাজিলের বিখ্যাত ক্লাব স্যান্টসের হয়ে। যা কিনা এতদিন পর্যন্ত এক ক্লাবের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড হিসেবে নথিভুক্ত ছিল। মঙ্গলবার ভালদালিদের বিরুদ্ধে গোল করে পেলের সেই রেকর্ড টপকে গেলেন লিও। বার্সার জার্সিতে এখন তাঁর গোলসংখ্যা ৬৪৪। এক ক্লাবের হয়ে কোনও ফুটবলারের করা গোলসংখ্যার নিরিখে এটিই এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ।
কিংবদন্তির রেকর্ড ভেঙে স্বভাবতই খুশি বার্সার সুপারস্টার। পেলেকে টপকানোর পর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে আবেগঘন বার্তা দিলেন তিনি। বললেন,”আমি যখন ফুটবল খেলা শুরু করি, তখন ভাবিনি কোনও রেকর্ড কোনওদিন ভাঙতে পারব। বিশেষ করে আজ যে রেকর্ড ভাঙলাম। যারা যারা এতবছর আমার পাশে ছিলেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। আমার সতীর্থরা, আমার পরিবার, আমার বন্ধু, সমর্থক প্রত্যেককে ধন্যবাদ।” যদিও, মেসির (Leo Messi) এই বার্তায় কোনও আশার আলো দেখছেন না বার্সা সমর্থকরা। কারণ, বার্সার সঙ্গে মেসির চুক্তি শেষ হচ্ছে এই মরশুমের পরই। এদিকে মরশুম অর্ধেক শেষ হতে চললেও তাঁর সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়ে কোনও আলোচনাই শুরু করতে পারেনি ক্লাব। যা পরিস্থিতি তাতে মরশুম শেষে মেসির বার্সা বিদায় প্রায় নিশ্চিত। তাছাড়া পেলের রেকর্ড ভাঙার পর বার্সেলোনার জার্সিতে মেসির আর কোনও রেকর্ডই অধরা রইল না। স্বাভাবিকভাবেই তিনি নতুন কোনও চ্যালেঞ্জের খোঁজে বেরিয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন সমর্থকরা।