ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে মাহমুদুল্লাহ বাহিনীকে। তবে শেষ ম্যাচে একেবারে টানটান উত্তেজনার লড়াই প্রত্যক্ষ করেছে সমর্থকরা। কম রানের পুঁজি নিয়েও একেবারে শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই জারি রেখেছিল বাংলাদেশ।
এখানেই শেষ নয় । অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ যে ভাবে শেষ ওভারে নিজে এগিয়ে এসে বল করার দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন, তা যেমন সমর্থকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে, ঠিক তেমনই ম্যাচ হেরে যাবে, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও তাঁর শেষ বলটি আম্পায়ার বিতর্কিত ভাবে ডেড বল ডাকার পরেও, যে ভাবে তিনি বিনা বাক্যব্যয়ে বলটি ফের করতে রাজি হয়ে যান, তাতেই তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
১২৫ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল পাকিস্তানের। শেষ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৮ রান। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বল করতে এসে তুলে নেন তিনটি উইকেট। তার পরে তাঁকে একটি ছয় হজম করতে হয়। ফলে শেষ বলে বাকি ছিল ২ রান। স্ট্রাইকে তখন সদ্য ক্রিজে আসা মহম্মদ নওয়াজ। শেষ বলে ২ রান যখন বাকি তখন বলও করেন রিয়াদ। কিন্তু একদম শেষ সময়ে গিয়ে স্ট্যান্স থেকে সরে দাঁড়ান নওয়াজ, বলটি গিয়ে স্ট্যাম্পে আঘাত করে অর্থাৎ তিনি বোল্ড হয়ে যান।
কিন্তু সকলকে অবাক করে দিয়ে একবারে শেষ মূহুর্তে নওয়াজ সরে দাঁড়ানোর পরেও বলটিকে ডেড বল ডাকেন আম্পায়াররা । বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অল্পবিস্তর আবেদন করা হয় আম্পায়ারদের কাছে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী বোলারের ডেলিভারি পিচে ড্রপ করার পর ব্যাটার সরে দাঁড়ালে এবং বল স্ট্যাম্পে লাগলে তাঁকে আউট দেওয়া যেতে পারে। তবে এই ক্ষেত্রে আউট না দেওয়ার আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হওয়ায় সেটি ডেড বল মেনে নেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বলা বাহুল্য বলটিকে ডেড ঘোষণা না করা হলে ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতত।
পরে দ্বিতীয় বার শেষ বলে করে তাতে বাউন্ডারি হজম করেন মাহমুদুল্লাহ এবং বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ম্যাচ হেরে যায়।
ম্যাচ শেষে এই প্রসঙ্গে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘আম্পায়ারকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, ও (নওয়াজ) তো শেষ মুহূর্তে গিয়ে সরে দাঁড়িয়েছে, তা হলে এটা বৈধ বল ছিল! এর বাইরে জিজ্ঞাসা করিনি।’ ওই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মাহমুদুল্লাহ ২২ গজে যে স্পোর্টসম্যান স্পিরিট দেখিয়েছেন, তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছেন ক্রিকেট সমর্থকরা।