বাতিল হয়ে গেল সোমবারের কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচ। কলকাতা শিবিরে দু’জন করোনায় আক্রান্ত হওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এই দুই ক্রিকেটার হলেন স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী এবং পেসার সন্দীপ ওয়ারিয়র। দু’জনেই আপাতত নিভৃতবাসে রয়েছেন।
সোমবার সকাল থেকে কেকেআর শিবিরে করোনা-হানার কথা ভেসে আসছিল। এমনকি ম্যাচ যে বাতিল হয়ে যেতে পারে, সে খবরও শোনা যাচ্ছিল একাধিক দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু আইপিএল বা কেকেআর, কোনও তরফেই সে খবরের সত্যতা তখনও স্বীকার করা হয়নি। অবশেষে দুপুরের দিকে বিবৃতি পাঠিয়ে খবরের সত্যতা স্বীকার করেন আয়োজকরা।
বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “গত চার দিনে তৃতীয় রাউন্ড পরীক্ষার পর বরুণ এবং সন্দীপ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাকি সবারই কোভিড পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। দু’জনকেই বাকি দলের থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা নিয়মিত দু’জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।” কলকাতা ইতিমধ্যেই দৈনিক পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ, বাকি কারওর শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে কি না তা জানতে রোজ পরীক্ষা করা হবে।
সোমবার ম্যাচ পিছিয়ে যাওয়ার কথাও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। তবে কবে সেই ম্যাচ আয়োজন করা হবে তা বলা হয়নি।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কাঁধের চোটের জন্য স্ক্যান করাতে জৈব সুরক্ষা বলয় ছেড়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন বরুণ। গ্রিন করিডর দিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। তবে সন্দীপ কী করে করোনা-আক্রান্ত হলেন তা জানা যায়নি। এ বারের আইপিএল শুরু হওয়ার মাঝপথে এই প্রথম কোনও দলের ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হলেন।
তবে নিঃসন্দেহে এই ঘটনা জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। একাধিক ক্রিকেটার এর আগে জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিরাপত্তা নিয়ে আস্থা প্রকাশ করেছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন কেকেআর-এর প্যাট কামিন্সও। কিন্তু বলয় ভেঙে শেষ পর্যন্ত শিবিরে ঢুকে পড়ল ভাইরাস।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতি দেখে ইতিমধ্যেই দেশে ফিরে গিয়েছেন চার অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। সোমবার অস্ট্রেলিয়ার একটি রেডিয়ো চ্যানেলে সে দেশের বোর্ড কর্তা নিক হকলি জানিয়েছেন, ক্রিকেটারদের চার্টার্ড বিমানে দেশে ফেরানোর কোনও পরিকল্পনা আপাতত তাঁদের নেই।
হকলি বলেছেন, “আমরা অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন, বিসিসিআই এবং ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলছি। নিশ্চিত করতে চাইছি সবাই ঠিক আছে কি না এবং সম্পূর্ণ তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে কি না।”