সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (Sunrisers Hyderabad) বিরুদ্ধে, তাদেরক ঘরের মাঠ উপ্পলে (Rajiv Gandhi International Stadium, Uppal, Hyderabad) খেলতে নামার আগে, কলকাতা নাইট রাইডার্সের (SRH VS KKR) কাছে সমীকরণ ছিল অত্যন্ত সোজা। এই ম্যাচ ও আগামী চার ম্যাচ নিয়ে মোট পাঁচ ম্যাচ কেকেআরকে জিততেই হবে। তবেই প্লে-অফের রাস্তা খোলা থাকবে। হেরে গেলেই কার্যত বিদায় নিতে হবে। অর্থাৎ কেকেআরের জন্য প্রতিটি ম্যাচই ডু-অর-ডাই। বৃহস্পতিবার মরণ-বাঁচন লড়াইয়ে কেকেআর হাসল শেষ হাসি। এদিন টস জিতে নীতীশ রানার (Nitish Rana) দল প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৭১ রান তোলে। জবাবে এডেন মারক্রমের (Aiden Markram) টিম আট উইকেটে ১৬৬ রান তুলতে সমর্থ হয়। শেষ ওভারের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কেকেআর জেতে পাঁচ রানে। শেষ চারের দৌড়ে টিকে থাকার জন্য এই জয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল রানাদের কাছে। দুই পয়েন্ট নিয়ে কলকাতা আপাতত লড়াইয়ে থাকল।
ব্যাট করতে নেমে এদিন কেকেআরের টপ অর্ডার ডাঁহা ফেল করেছে। ওপেনিং জুটি জেসন রয়, রহমানুল্লাহ গুরবাজ ক্লিক করল না। গুরবাজ প্রথম বলেই আউট হয়ে যান। তিনে নেমে ভেঙ্কটেশ আইয়ার মাত্র সাত রান করে ফেরেন ডাগআউটে। ওদিকে দুরন্ত ফর্মে থাকা ব্রিটিশ ওপেনার জেসন করেন মাত্র ১৯ বলে ২০। ৩৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে নাইট ব্রিগেড। চারে নেমে নীতীশ রানা ও পাঁচে নামা রিঙ্কু সিং এসে হাল ধরেন। ৪০ বলে তাঁদের যুগলবন্দিতে ওঠে ৬১ রান। নীতীশ ৩১ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান। এরপর রাসেল নেমে ১৫ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে যান। কিন্তু এরপরের দিকে সুনীল নারিন, শার্দূল ঠাকুর, হর্ষিত রানা ও বৈভব অরোরাদের স্কোর বলার মতো নয়। রিঙ্কু ৩৫ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন। অনুকূল রায় ৭ বলে ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। মিডল অর্ডারের সৌজন্যে কেকেআর স্কোরবোর্ডে ১৭১ রান তুলতে সমর্থ হয়েছে। হায়দরাবাদের হয়ে মার্কো জানসেন ও টি নটরাজন নিয়েছেন দুই উইকেট করে।
সানরাইজার্সও যে শুরুটা দারুণ কিছু করেছিল, এমনটা নয়। ৫৩ রানে দলের প্রথম তিন উইকেট চলে গিয়েছিল ছয় ওভারের মধ্যে। চারে নেমে ক্যাপ্টেন মারক্রম ও ছয়ে নেমে হেনরিক ক্লাসেন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কাজটা করতে না পারলে হায়দরাবাদ অনেক আগেই চাপে পড়ে যেত। মারত্রম ৪০ বলে ৪১ ও ক্লাসেন ২০ বলে ৩৬ করেন। প্রোটিয়া জুটি ৪৭ বলে ৭০ রান যোগ করেছিলেন। সাতে নেমে আব্দলু সামাদ একটা ভালো লড়াই করেছিলেন। দলকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যান তিনি। শেষ ওভারে হায়দরাবাদের জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল নয় রান। নীতীশ বল তুলে দেন বিশ্বস্ত যোদ্ধা বরুণ চক্রবর্তীকে। তবে বরুণ কাজের কাজটা করে দেন। শেষ ওভারে ভয়ংকর হয়ে ওঠা সামাদকে ফিরিয়ে দেন। ১৮ বলে ২১ রান করে আউট হন তিনি। ভুবনেশ্বর কুমার ও ময়ঙ্ক মারকাণ্ডের পক্ষে এই ম্যাচ বার করা আর সম্ভব হয়নি। এদিনে কেকেআরের হয়ে বৈভব-শার্দূল নিয়েছেন দুই উইকেট করে। হর্ষিত, রাসেল, অনুকূল ও বরুণ নিয়েছেন একটি করে উইকেট। আগামী সোমবার কেকেআর ঘরের মাঠ ইডেনে খেলবে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে।