বিশ্বে ফের নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস (Corona Pandemic)। ভারতেও আছড়ে পড়েছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরে জাপানে আয়োজিত হতে চলা টোকিও অলিম্পিক (Tokyo Olympic) থেকে নাম তুলে নিল উত্তর কোরিয়া (North Korea)। করোনা সংক্রমণের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সেদেশের ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফ থেকে বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। আর পিয়ংইয়ং-এর এই সিদ্ধান্তের ফলে কিছুটা হলেও চিন্তায় দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea)। কারণ তাঁরা ভেবেছিল এই অলিম্পিক গেমসের মাধ্যমেই পুনরায় দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হবে।
গত ২৫ মার্চ বৈঠকে বসেছিল উত্তর কোরিয়ার অলিম্পিক কমিটি এবং ক্রীড়ামন্ত্রী কিম ইল গুক। সেই বৈঠকের পরই টোকিও অলিম্পিক থেকে নাম তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে উত্তর কোরিয়া। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “করোনার কারণে গোটা বিশ্বে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আর সেকারণে অ্যাথলিটদের বাঁচাতে ৩২ তম অলিম্পিক থেকে নাম তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” এর ফলে ১৯৮৮ সালের পর দ্বিতীয়বার অলিম্পিক থেকে সরে দাঁড়াল উত্তর কোরিয়া। ঠাণ্ডা লড়াইয়ের সময় সিওল অলিম্পিকে যোগ দেয়নি তাঁরা।
তবে এবার উত্তর কোরিয়ার এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও ব্যাহত হওয়ার মুখে দুই কোরিয়ার শান্তি আলোচনা। ১৯৫০-৫৩ সাল থেকে চলে আসছে দুই দেশের বিবাদ। তবে পরবর্তীতে শান্তি ফেরাতে ফের দুদেশ ফের আলোচনা শুরু করে। এরপর ২০১৮ সালে আয়োজিত একটি সামিটে দুদেশের শীর্ষনেতারা ঠিক করে ২০৩২ সালে অলিম্পিক আয়োজনের জন্য একত্রে বিড করবে উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া। তবে এবার সেই সিদ্ধান্তও বলতে গেলে তীব্র ধাক্কা খেল। যদিও ওই বছরই পিয়ংচ্যাংয়ে অনুষ্ঠিত শীতকালীন গেমসে অংশ নিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। খোদ কিমের বোন উত্তর কোরিয়া দলের সঙ্গে এসেছিলেন। বহন করেছিলেন দুদেশের যৌথ পতাকা। এমনকী আইস হকিতেও দুদেশ একত্রেই দল নামিয়েছিল। এরপর গত দু-তিনবছর ধরে একাধিকবার বৈঠকেও বসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু গত মাসে ফের উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা শুরু করলে, আবারও ওই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ভাবনা ছিল, অলিম্পিক গেমসের মাধ্যমেই পুনরায় দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হবে। কিন্তু সেই ভাবনাও এবার তীব্র ধাক্কা খেল।