সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবিটা বেশ কিছুদিন ধরেই উঠছিল। অবশেষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) অধিনায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন দীনেশ কার্তিক। শুক্রবার দুপুরে নাইটদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, ডিকে নিজে থেকেই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। তাঁর পরিবর্তে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান কেকেআরের নেতৃত্ব দেবেন।
মরশুমের প্রথম সাত ম্যাচের মধ্যে ৪ ম্যাচে জয়, ৩টি হার। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে এই ফলাফলকে অধিনায়কের ব্যর্থতা বলা যাবে না। কিন্তু গত সাত ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) অধিনায়ক হিসেবে দীনেশ কার্তিকের (Dinesh Karthik ) পারফরম্যান্স তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করছে সমর্থকদের। । খাতায় কলমে টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা দল হাতে থাকা সত্বেও যেভাবে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্তিক দলকে ডুবিয়ে দিচ্ছেন, তা একেবারেই না-পসন্দ সমর্থকদের। আর সম্ভবত সেজন্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় জোরাল দাবি উঠছিল তাঁর অপসারণের। শেষপর্যন্ত শুক্রবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগেই কার্তিক জানিয়ে দিলেন, তিনি আর অধিনায়কের পদে থাকতে চান না। ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে চান।
আসলে দীনেশ কার্তিকের পারফরম্যান্স নিয়ে গত মরশুমেও বিস্তর প্রশ্ন উঠেছিল। ভাল টিম থাকা সত্বেও নাইটরা গতবছর প্লে-অফে যেতে পারেনি। সেটা ঠিক মেনে নিতে পারছিলেন না সমর্থকরা। এবছর দল আরও শক্তিশালী হয়েছে। কিন্তু খেলার মাঠে কোনও পরিবর্তন হয়নি। বারবার মনে হচ্ছে, দল হিসেবে নিজেদের সেরাটা দিতে পারছে না কেকেআর। আর এসবের নেপথ্যে দায়ী ভুলভাল দল নির্বাচন এবং অবশ্যই ভুল ব্যাটিং লাইন-আপ। যার ফলে সার্বিকভাবে চাপ বাড়ছিল কার্তিকের উপর। শেষমেশ পদত্যাগই করে ফেললেন তিনি। এ প্রসঙ্গে কেকেআর সিইও বেঙ্কি মাইশোর বলছিলেন, “আমরা ভাগ্যবান যে কার্তিকের মতো নেতারা আমাদের দলে আছেন। যারা দলকে বেশি প্রাধান্য দেন। এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সাহসের প্রয়োজন হয়।”