‘এটা BCCI-র বিষয়’, বিরাটের অধিনায়কত্ব বিতর্কে ‘বিরক্ত’ সৌরভ

বিরাট কোহলির পর্ব ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাতে রীতিমতো ‘বিরক্তি’ প্রকাশ করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি জানান, এই বিতর্ককে আর টেনে নিয়ে যাবেন না। বিষয়টি দেখছে ভারতীয় বোর্ড।

কলকাতায় সৌরভ বলেন, ‘এটাকে আর টেনে নিয়ে যাবেন না। আমার কিছু বলার নেই। এটা বিসিসিআইয়ের বিষয়। বিসিসিআই বিষয়টি দেখবে।’ যিনি ২৪ ঘণ্টা আগে একইসুরে বলেছিলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই। এটায় যা বলার বিসিসিআই বলবে।’ বিসিসিআই বিষয়টি দেখছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

গত সপ্তাহে বিরাটকে একদিনের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেয় বিসিসিআই। তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। পরদিনই সৌরভ দাবি করেছিলেন, ‘বিসিসিআই এবং নির্বাচকরা মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসলে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব না ছাড়ার জন্য বিরাটকে অনুরোধ করেছিল বিসিসিআই। কিন্তু ও সেটায় রাজি হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে সাদা বলের দুটি ফর্ম্যাটে দু’জন ভিন্ন অধিনায়ক রাখাটা ঠিক হবে বলে মনে করেননি নির্বাচকরা।’ সঙ্গে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট দাবি করেছিলেন, একদিনের ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে বিরাটের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়েছে। তবে কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি সৌরভ। তারইমধ্যে বুধবার বিরাট বলেন, ‘যখন আমি বিসিসিআইকে বলি যে আমি টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাই, তখন তা ভালোভাবে গ্রহণ করা হয়েছিল। কোনওরকম দ্বিধাবোধ ছিল না। আমায় বলা হয় যে এটা প্রগতিশীল পদক্ষেপ। সেই সময় জানিয়েছিলাম যে আমি একদিনের ক্রিকেট এবং টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিতে চাই না। আমার তরফে বার্তা স্পষ্ট ছিল। আমি এটাও জানিয়েছিলাম, বিসিসিআই কর্তা এবং নির্বাচকরা যদি মনে করেন যে অন্য ফর্ম্যাটে আমার নেতৃত্ব দেওয়া উচিত নয়, সেটাও ঠিক আছে।’

তারইমধ্যে সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বুধবার বিরাটের মন্তব্যের পরই জুম কলে বৈঠক করেন সৌরভ, বোর্ডের সচিব জয় শাহ এবং বোর্ডের একাধিক কর্তা। সেখানে মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করবেন না বা বিবৃতি জারি করবেন না। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, বুধবার বিরাট যেভাবে একাধিক বোমা ফেলেছেন, তাতে বিসিসিআইয়ের অন্দরে কেউ সন্তুষ্ট নন। তবে আপাতত কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না শুধুমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের কারণে। ওই মহলের ধারণা, সেরকম পদক্ষেপ করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। নাম প্রকাশ না করে বোর্ডের এক উচ্চপদস্থ কর্তাকে উদ্ধৃত করে পিটিআই বলেছে, ‘এই বিষয়ে সভাপতির কার্যালয়ের সম্মান জড়িয়ে আছে। তাই এই সংবেদনশীল বিষয়টি কীভাবে সামলানো হবে, সেজন্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। বিসিসিআই জানে যে সামনেই টেস্ট সিরিজ আছে। তড়িঘড়ি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বা বিবৃতি জারি করা হলে দলের মনোবল ধাক্কা খেতে পারে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.