রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তর সঙ্গে আলোচনার পরই শ্রী সিমেন্টকে চিঠি পাঠাল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব (East Bengal)। যেখানে সদস্যদের ‘প্রিভিলেজ’ দেওয়ার কথা লেখা হয়েছে। শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষের তরফে মঙ্গলবার এর পালটা চিঠিতে লেখার কথা, “সদস্যদের প্রিভিলেজ বলতে ক্লাব কী বলতে চেয়েছে, তা পরিষ্কার করে জানাতে হবে।” তবে টার্মশিটে চুক্তির যে শর্তগুলি লেখা রয়েছে, তা থেকে এক পাও সরতে রাজি নয় শ্রী সিমেন্ট। এরইমধ্যে আবার শোনা যাচ্ছে, এবারের আইএসএল (ISL) নভেম্বরের বদলে সম্ভবত ডিসেম্বরে শুরু হতে পারে।
যদিও আইএসএল পিছিয়ে যাওয়ার কারণ একেবারেই ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান পরিস্থিতি নয়। বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির বিদেশি ফুটবলার এবং কোচেদের ভিসা সমস্যা হচ্ছে। একইসঙ্গে স্পনসর হিরোর সঙ্গেও কথাবার্তা শুরু করেছেন এফএসডিএল (FSDL) কর্তারা। হিরো কর্তৃপক্ষ যদি শেষপর্যন্ত রাজি হয়, তাহলে এবারের আইএসএলের ফরম্যাটও বদলে যেতে পারে।
অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা করার জন্য এটিকে-মোহনবাগানের (ATK-Mohun Bagan) কোচ হাবাস-সহ বিদেশি ফুটবলাররা ঠিক সময়ে গোয়া পৌঁছে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু সমস্যায় পড়েছে অন্য দলগুলি। বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক না হওয়ায় বিদেশিদের ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে। আর তাতেই গোয়া পৌঁছে কবে জৈব বলয়ের মধ্যে বিদেশিরা প্রবেশ করবেন কেউ জানেন না। এই ভাবনা থেকেই এফএসডিএল কর্তৃপক্ষ আইএসএল শুরুর সময় পিছিয়ে দিতে চাইছেন। আর তাতে হয়তো কিছুটা হলেও সুবিধা পেয়ে যাবে ইস্টবেঙ্গল।
কিন্তু ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষর সঙ্গে ক্লাবের সমস্যা এখন এতটাই জটিল হয়ে উঠছে যে সমস্যা মেটাতে ইস্টবেঙ্গলের দুই কর্তা দেবব্রত সরকার এবং সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় প্রাক্তন ফুটবলার ভাষ্কর গঙ্গোপাধ্যায়কে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবেও আসেন। আর তা নিয়ে ময়দানে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। শোনা যায়, ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষর সঙ্গে চুক্তি নিয়ে যে আইনি সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা মেটানোর জন্যই ইস্টবেঙ্গল কর্তারা কিশোর দত্তর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। যদিও ক্লাবের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “অ্যাডভোকেট জেনারেল ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। সেই কারণেই শতবর্ষের বই ওঁর হাতে তুলে দিতে হাই কোর্টে গিয়েছিলাম। পরে ফের উনি ক্লাবে আসেন। এর মধ্যে সমস্যার কোনও গল্প নেই।”