চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে খেলার আগে এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal) কোচ ম্যানুয়েল দিয়াজ (Manuel Diaz) বলেছিলেন, চেন্নাই ম্যাচ থেকেই শুরু হবে জয়ের দৌড়। তা, জয় না এলেও, ডার্বি এবং ওড়িশার বিরুদ্ধে ভয়াবহ গোল-বন্যার পর অন্তত ‘এক’ পয়েন্ট এসেছে সংসারে। এ সবের মধ্যে মঙ্গলবার এসসি ইস্টবেঙ্গল নামতে চলেছে লিগ টেবলের ‘লাস্ট বয়’ এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে।
সোজাসুজি বললে, ভাস্কোর তিলক ময়দানে আজ এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে এখন জয়ের খোঁজে এসসি ইস্টবেঙ্গল। শেষ ম্যাচে ড্র করে এখন মানসিকভাবে অনেক উন্নত লাল-হলুদ ব্রিগেড। অন্যদিকে, গোয়াকে তিন ম্যাচেই দেখতে হয়েছে হারের মুখ। এবার হয়তো মরশুমের প্রথম জয়টা আসবে, আশায় লাল-হলুদ সমর্থকরাও। কিন্তু সমস্যা রয়েই যাচ্ছে। একপ্রান্তে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) যখন অনেকটাই এগিয়ে, তখনও জয়ের সন্ধান পায়নি এসসি ইস্টবেঙ্গল।
চোট, গোল না পাওয়ার হতাশা সহ একাধিক বিষয় নিয়ে সমস্যা। দলের ফুটবলার অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়, জ্যাকিচাঁদ সিং-রা চোটগ্রস্ত। কবে একাদশে ফিরবেন ঠিক নেই। একই সঙ্গে মরশুমে ইতিমধ্যে দশ গোল হজম করে ফেলেছে লাল-হলুদ। ডিফেন্সের পাশাপাশি এসসি ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচের চিন্তা ফুটবলারদের ওয়ার্কলোড। গোয়ার আর্দ্রতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিন দিনের মধ্যে ম্যাচ খেলা অনেক বেশি কঠিন বলে মনে করেন কোচ।
তবুও কোথাও গিয়ে এই ম্যাচে আশার আলো দেখছেন কোচ দিয়াজ। কিন্তু হালকা ভাবে নিতে নারাজ এফসি গোয়াকে। দিয়াজ বলেন, “এফসি গোয়া যখন-তখন নিজেদের সেরাটা তুলে ধরতে পারে। কাউকে হালকা ভাবে নিতে চাই না। সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাড়তি অ্যাডভান্টেজ হল শেষ ম্যাচে গোল শূন্য ড্র করা। এটা মানসিক ভাবে আমাদের এগিয়ে রাখছে।”
এখনও পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ২টি হার ও ২টি ড্র করেছে লাল-হলুদ। গোলশূন্য ড্র-এর আগে, ওড়িশার বিরুদ্ধে ৪-৬ গোলে হেরেছিল তারা। প্রথম ম্যাচে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ড্র করেন রফিকরা। কোভিড কালে গোয়ায় আইএসএল হলেও দুই প্রধান নিয়ে সব সময় আবেগপ্রবণ ফুটবল অনুরাগীরা। ফলে হতাশা ভুলে খুশির দিন দেখার অপেক্ষায় এসসি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। আসবে সেই কাঙ্খিত জয় আজ?